প্রতিবেদন: বাংলাদেশে (Bangladesh) মহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার যে এখন পুরোপুরি পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিগোষ্ঠী ও জামাতের মতো কট্টর মৌলবাদীদের কাছে আত্মসমর্পণ করেছে তা প্রমাণ হয়ে গিয়েছে। সাড়ে চার মাসে বাংলাদেশের চালিকাশক্তি মুক্তিযোদ্ধাদের বদলে রাজাকারদের পৃষ্ঠপোষকদের হাতে। অর্থনীতি ও আইনশৃঙ্খলা তলানিতে। সংখ্যালঘু নিপীড়ন ও মানবাধিকার লঙ্ঘন দৈনন্দিন রুটিন হয়ে উঠেছে। মুক্তিযুদ্ধের স্লোগান জয় বাংলা বলার অপরাধে প্রকাশ্যে পিটিয়ে খুন করা হয়েছে দুই কিশোরকে। দৃশ্যতই পাকিস্তানের সঙ্গে সখ্য বাড়ানোর কৌশল নিয়েছে জামাত-রাজাকার নিয়ন্ত্রিত ইউনুস সরকার। ইউনুসের ঘনিষ্ঠ উপদেষ্টাও ভারত আক্রমণ ও একাধিক রাজ্য দখলের হাস্যকর উসকানি দিচ্ছেন। এই প্রেক্ষাপটে পাকিস্তানি নাগরিকদের ভিসার নিয়ম সহজ করেছে বাংলাদেশ। পাকিস্তানও বাংলাদেশি নাগরিকদের আরও বেশি সংখ্যায় ভিসা দেবে বলে জানিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে শঙ্কিত এদেশের গোয়েন্দারা। তাঁদের মতে, পাক-বিরোধী হওয়া সত্ত্বেও হাসিনা সরকারের আমলেও বাংলাদেশি (Bangladesh) জঙ্গিরা সক্রিয় ছিল। জামাতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ (জেএমবি), আল কায়দা ইন্ডিয়া সাবকন্টিনেন্ট (একিউআইএস)-সহ একাধিক সংগঠনের আস্তানা পাওয়া গিয়েছিল পশ্চিমবঙ্গে। যার পিছনে পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের মদতও মিলেছিল। এবার সহজে ভিসা পাওয়ার সূত্র ধরে জঙ্গি উপদ্রব আরও বাড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, পাকিস্তান এবং বাংলাদেশের সখ্য বৃদ্ধির ফলে ভারতের পূর্ব এবং পশ্চিম, দু’দিকেই একই ধরনের কট্টর মৌলবাদী মনোভাবাপন্ন প্রতিবেশী রাষ্ট্রশক্তি থাকবে। এতদিন বাংলাদেশে জঙ্গি সংগঠনের আঁতুড়ঘর থাকলেও সে দেশের গোয়েন্দা এবং সেনাবাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে তার মোকাবিলা করার সুযোগ ভারতের ছিল। কিন্তু সরকারি ভাবে বাংলাদেশে পাকিস্তানের প্রভাব বৃদ্ধি হলে ভারতের পক্ষে জঙ্গি দমনে সমন্বয় সাধন দুরূহ হবে। ফলে বড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে সীমান্ত-নিরাপত্তা।
আরও পড়ুন- রেকর্ড গড়ল দেশের বাণিজ্য ঘাটতি, নভেম্বরের হিসাবে ৩৭.৮ বিলিয়ন ডলার