সংবাদদাতা, বাঁকুড়া : বর্ষাকালীন পেঁয়াজচাষে ইতিমধ্যেই সাফল্য এসেছে বাঁকুড়ায়। এ বছর তার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। বাঁকুড়া উদ্যানপালন বিভাগে এসে গিয়েছে ৯৫০ কেজি পেঁয়াজবীজ। যা ন্যূনতম ৯৫০ বিঘা জমিতে চাষ করা যাবে। এই পেঁয়াজবীজ বাঁকুড়ার প্রায় ১৫০০ কৃষককে বিনামূল্যে বিতরণ করা হবে। বাঁকুড়ার রায়পুর, রানিবাঁধ, সারেঙ্গা, সিমলাপাল, ছাতনা, হিরবাঁধের মতো উঁচু জমিতে চাষ করে ইতিমধ্যেই সাফল্য লাভ করা গিয়েছে। তাছাড়া মেজিয়া, গঙ্গাজলঘাটি, বিষ্ণুপুর, জয়পুর এলাকাতে চাষীরা পদ্ধতি মেনে লাভের মুখ দেখছে।
আরও পড়ুন-শারদোৎসবের প্রাক্কালে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা শিলিগুড়ির তিন রাজপথে
জেলা উদ্যানপালন দফতরের উপ-অধিকর্তা কৃষ্ণেন্দু নন্দন জানান, প্রতি বছরের মতো এবারও বাঁকুড়া জেলাতে পেঁয়াজ চাষের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। জেলা জুড়ে কমপক্ষে ১৫০০ চাষীকে, তাঁদের আবেদনের ভিত্তিতে পেঁয়াজবীজ সরবরাহ করা হবে। খুব শিগগিরই তাঁদের প্রশিক্ষণেরও ব্যবস্থা করা হবে। বর্ষাকালীন পেঁয়াজ চাষের জন্য, প্রয়োজন পর্যাপ্ত পরিমাণে বৃষ্টি কিন্তু সেই বৃষ্টির জল দাঁড়াবে না জমিতে। অনেকটা চা-চাষের মতো। চাষ যদি ঠিকমতো করা যায়, তাহলে পুজোর সময় বা পুজোর পরে পেঁয়াজের ঘাটতি কিছুটা হলেও দূর হবে এবং পুজোর মুখে চাষীদের হাতে কিছু টাকা আসবে। ওই সময় পেঁয়াজের ঘাটতিও মেটাবে। ভিন রাজ্য থেকে পেঁয়াজ আমদানি করার চাপ কমবে। মেজিয়া থেকে কৃষক অশোক মাঝি এবং ছাতনা থানার আমডিহার সুমন্ত টুডু জানালেন, বিগত বছর পেঁয়াজ চাষ করে তাঁরা ভাল ফলন পেয়েছেন। তাই এ-বছরেও পেঁয়াজবীজের জন্য আবেদন করে, বীজ নিয়ে বাড়ি ফিরছেন।