ছাত্রীকে ধর্ষণে যাবজ্জীবন সাজা বারাসত আদালতে

Must read

প্রতিবেদন : পুলিশের ভুয়ো পরিচয় দিয়ে এক কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণে অভিযুক্তকে যাবজ্জীবন সাজা শোনাল বারাসত জেলা আদালত (Barasat Court)। অভিযুক্তের নাম বাহার আলি। শনিবার বারাসত জেলা আদালতের সপ্তম এডিজে অভিযুক্তকে আমৃত্যু কারাদণ্ড এবং ১ লক্ষ টাকা আর্থিক জরিমানা, অনাদায়ে অতিরিক্ত ৬ মাসের জেল হেফাজতের সাজা শোনান। ওই ছাত্রীর ফোন হ্যাক করা হয়েছিল। তিনি এই অভিযোগ জানানোর পরই মধ্যমগ্রাম থানার বাসিন্দা ওই ছাত্রীকে ২০২২ সালের ১৪ মে দত্তপুকুর থানার দেবাশিসবাবু পরিচয় দিয়ে ফোন করে অভিযুক্ত। মধ্যমগ্রামে বাড়ি হওয়ায় ওই থানার জনৈক বিক্রমবাবুর কাছে যেতে বলে ওই ছাত্রীকে। বলা হয় তাঁর ফোন ডি হ্যাক করা হবে। ডি হ্যাক করানোর জন্য ছাত্রী ফোন এবং তাঁর বাবাকে নিয়ে মধ্যমগ্রাম থানায় গেলে তাঁকে কীর্তিপুর পঞ্চায়েতের কৃষ্ণমাটি এলাকায় যেতে বলা হয়। ওই ছাত্রী তার কথামতো কৃষ্ণমাটি এলাকায় যান। তাঁর বাবাকে বাজারে দাঁড় করিয়ে রেখে অভিযুক্ত ওই ছাত্রীকে সঙ্গে করে স্থানীয় একটি পোল্ট্রি ফার্মে নিয়ে যায়। সেখানে গেলে অভিযুক্ত ছাত্রীকে জোর করে ধর্ষণ করে এবং সেই ভিডিও তুলে রাখে। ভয়ে, আতঙ্কে পরিবারের কাউকে তখন কিছু বলেননি ওই ছাত্রী। ক’দিন পর ওই অশ্লীল ভিডিও পাঠিয়ে ফের তাঁকে ডেকে পাঠায় অভিযুক্ত। তখন ওই ছাত্রী মধ্যমগ্রাম থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। ১৭ তারিখ অভিযোগ দায়ের হওয়ার পর ২৪ তারিখে বাহার আলিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সেই মামলাতেই শনিবার বারাসত জেলা আদালতে যাবজ্জীবন সাজা হল বাহার আলির।

আরও পড়ুন- ১৪ বছর পর খুনের সাজা দোষীর

Latest article