সংবাদদাতা, বারাসত : স্কুলস্তর থেকে যৌনশিক্ষা দেওয়া প্রয়োজন। ইন্টারনেটের মাধ্যমে যৌনতা সম্পর্কে ভ্রান্ত ধারণা থেকেই বয়ঃসন্ধিকালের ছেলেমেয়েরা বিপথে পরিচালিত হয়। শনিবার বারাসত পুলিশ জেলার পক্ষ থেকে ‘তেজস্বিনী’ প্রকল্পের উদ্বোধন করতে এসে এমনই মন্তব্য করেন সাংসদ ডাঃ কাকলি ঘোষ দস্তিদার। তিনি বলেন, মহিলাদের সুরক্ষায় পুলিশের এই তেজস্বিনী প্রকল্পের মাধ্যমে আত্মরক্ষার প্রশিক্ষণ অত্যন্ত জরুরি।
আরজি কর-কাণ্ডের পর মহিলাদের সুরক্ষায় ‘দশভুজা’ প্রকল্প চালু করেছে বনগাঁ পুলিশ। শনিবার সেই ধাঁচেই ‘তেজস্বিনী’ প্রকল্প চালু করল বারাসত পুলিশ। বারাসতের রবীন্দ্র ভবনে তেজস্বিনী প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হল। ছিলেন বারাসতের সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার, জেলা জজ সুদীপ্তকুমার দে, পুলিশ সুপার প্রতীক্ষা ঝাড়খড়িয়া, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার স্পর্শ নীলঙ্গী প্রমুখ। তেজস্বিনী প্রকল্পের হাত ধরে বারাসত জেলা পুলিশ এবং একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন স্কুলে স্কুলে গিয়ে ছাত্রীদের আত্মরক্ষার প্রশিক্ষণ দেবেন। মহিলাদের উপর যৌন হেনস্থা, অত্যাচার রুখতে মহিলাদের আত্মরক্ষার কৌশলের প্রশিক্ষণ দিতেই বারাসত পুলিশ জেলার উদ্যোগে এই তেজস্বিনী প্রকল্প শুরু হয়েছে। পুলিশের এই উদ্যোগ যথেষ্ট প্রশংসনীয়। হাবরা, দেগঙ্গা এবং বারাসতের তিনটি স্কুলের ৩০০ জন ছাত্রীকে তেজস্বিনী প্রকল্পের মাধ্যমে তাদের স্কুলে গিয়ে আত্মরক্ষার কৌশল শেখানো শুরু করেছে পুলিশ। পুলিশ সুপার প্রতীক্ষা ঝাড়খড়িয়া বলেন, প্রাথমিকভাবে তিনটি স্কুলে তেজস্বিনী চালু করা হল। আগামী ছ’মাসের মধ্যে ১ হাজার স্কুল-ছাত্রীকে আত্মরক্ষার প্রশিক্ষণ দেওয়াই আমাদের লক্ষ্য। এরপর কলেজ-স্তরের মেয়েদেরও আত্মরক্ষার প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।