রৌনক কুণ্ডু, কোচবিহার: কোচবিহার (Baro Devi- Cooch Behar) রাজবংশের বড়দেবী দুর্গা নররক্ত না পেলে তুষ্ট হন না । একসময় নরবলি প্রচলিত ছিল এই পুজোয়। তবে রাজ-আমলেই সেই রীতি বন্ধ হয়ে যায়৷ তবে মহাষ্টমী ও মহানবমীর সন্ধিলগ্নে বড়দেবীর মন্দিরে হয় ‘গুপ্তপুজো’। বাইরের লোক তখন প্রবেশ করতে পারেন না মন্দিরে। রাজপুরোহিত এবং রাজবংশের প্রতিনিধিরাই মূলত থাকেন এই উপাচারের সময়ে। রাজ-আমল থেকে একটি পরিবার তাঁর আঙুল কেটে কয়েক ফোঁটা রক্ত দিতে হয় দেবীর পদতলে। বলি দেওয়া হয় চালের গুঁড়ো দিয়ে তৈরি মানুষরূপী একটি রক্তভেজা পুতুলকে। বলির সময় প্রবল শব্দে ঢাক বাজানো হয়। আজও এই ঐতিহ্য বহন করে চলেছে কোচবিহার (Baro Devi- Cooch Behar)। কোচবিহারে আজ অষ্টমীর সকালে বিশেষ পুজো দিয়ে অরবিন্দকুমার মিনা জানান, কোচবিহারবাসীর মঙ্গল কামনায় তিনি আজ পুজো দিয়েছেন। বড়দেবীর পুজো দিয়ে অভিনব এক অনুভূতি হয়েছে তাঁর। যেন সকলেই পরিবারের সকলকে নিয়ে পুজো আনন্দে কাটান। রাজপুরোহিত হীরেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, রাজ-আমলের সব রীতি মেনে পুজো হয়েছে বড়দেবীর৷ অষ্টমীর রাতে হল গুপ্তপুজো৷ এই পুজোতে শিবেন রায় আঙুল কেটে রক্ত দিলেন৷ সেই রক্তেভেজা পুতুল মায়ের কাছে বলি দেওয়া হয়৷ রাজ-আমলের ইতিহাস থেকে জানা যায়, ময়না গাছের ডালকে দেবী দুর্গা কল্পনা করে পুজো শুরু হয়েছিল। তাই আজও ময়না গাছের ডালকেই রাধাষ্টমীর দিন পুজো করে দেবীপ্রতিমা কল্পনা করে পুজো করা হয়।