বসন্ত বন্দনা বিশ্বভারতীর (Visva Bharati) সুপ্রাচীন ঐতিহ্য। তবে গোটা বাংলায় যেভাবে দোল উৎসব অনুষ্ঠিত হয় তার থেকে ভিন্ন ভাবেই বসন্ত বন্দনা হত। যদিও বাণিজ্যিক কারণে একটা দীর্ঘ সময় দোলের সঙ্গেই বসন্ত উৎসব পালন করে সাধারণ মানুষের জন্য দরজা খুলে দেওয়া হয়। এবছর যদিও পুরোনো প্রথাতেই ফিরে যাচ্ছে বিশ্বভারতী। ১১ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ে পালিত হবে বসন্ত উৎসব।
আরও পড়ুন: প্রয়াত শিল্পী প্রতুল মুখোপাধ্যায়
রাজ্যে দোলযাত্রা পালিত হবে ১৪ মার্চ। তার তিনদিন আগেই বিশ্বভারতী (Visva Bharati) পড়ুয়া, শিক্ষক, অধ্যাপক, শিক্ষাকর্মীদের নিয়ে পালন করবে বসন্ত বন্দনা। রবীন্দ্র নৃত্য-গানে ভরে উঠবে পলাশে ভরা শান্তিনিকেতন। তবে বাহিরাগতদের প্রবেশাধিকার থাকবে না। সম্পূর্ণ নিজস্ব আঙ্গিকে হবে অনুষ্ঠান।
২০১৯ সাল থেকে বিশ্বভারতীতে বসন্ত বন্দনায় জনসাধারণের প্রবেশে বাধা। সেই বছর থেকেই তৎকালীন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বাধায় বিশ্বভারতীতে অনুষ্ঠিত হয়নি বসন্ত উৎসবও। এরপর দুবছর করোনার প্রকোপে বন্ধ থাকে উৎসব পালন। ফের ২০২১ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত সেই বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বাধাতেই অনুষ্ঠিত হতে পারেনি শতাব্দী প্রাচীন প্রথা। তবে গতবছর থেকে প্রথামাফিক বসন্ত বন্দনা পালন করছেন নিজেদের মধ্যে। এবারেও সেই একইভাবে জনসাধারণের প্রবেশাধিকার নিয়ন্ত্রণ করে প্রথার বসন্ত বন্দনা পালিত হবে