শান্তনু বেরা l খেজুরি: প্লেন থেকে ট্রেন, বাস থেকে টোটো— প্রায় সব ক্ষেত্রেই মহিলা চালকদের অবাধ বিচরণ। এবার গভীর সমুদ্রে মাছধরা ট্রলার চালিয়ে সাড়া ফেলে দিয়েছেন পূর্ব মেদিনীপুরের খেজুরির বাসন্তী দিন্দা। তবে এই পেশায় বাসন্তী প্রথম নন। মীনাক্ষী মান্নাই বাসন্তীদের মতো গ্রাম্য গৃহবধূদের এই পথ দেখিয়েছিলেন। মন্দারমণি উপকূল থানার দক্ষিণ পুরুষোত্তমপুর গ্রামের মীনাক্ষী ভারতের প্রথম সমুদ্রে যাওয়া মহিলা মৎস্যজীবী হিসাবে স্বীকৃতি পেয়েছিলেন ১৯৯৫ সালে।
আরও পড়ুন-ফের ড্র মোহনবাগানের, টংসিনের চোটে উদ্বেগ
স্বামী নির্মল মান্নার ট্রলার চালিয়ে মাছ ধরে স্বীকৃতি মিলেছিল দেশে এবং বিদেশে। সেই মীনাক্ষীর পদাঙ্ক অনুসরণ করছেন খেজুরি ২ ব্লকের কলাগেছিয়া মৎস্যখটির বাসন্তী। হিন্দু সংস্কার চাষের লাঙল, নৌকার হাল মেয়েদের ধরতে নেই। সেই সংস্কার ভেঙে দিেয়ছেন পূর্ব মেদিনীপুরের দুই গৃহবধূ— মীনাক্ষী ও বাসন্তী। বাসন্তী ইঞ্জিন চালাতে জানেন এবং সমুদ্রে জাল পেতে মাছ ধরতেও পটু। স্বামী রতন দিন্দা, ধারদেনা করে চার সিলিন্ডারের ট্রলার করেছেন। বছর চল্লিশের বাসন্তীর দুই ছেলেমেয়ে। মাছ ধরেই ট্রলারের ধারদেনা মিটিয়েছেন। ছোট পাকাঘরও বানিয়েছেন। খারাপ আবহাওয়া, ঘূর্ণিঝড় বা অন্য কোনও কারণে সমুদ্রে মাছ ধরতে না বেরোলে অন্যের মাছ নিয়ে মাথায় করে স্থানীয় বাজারে বিক্রি করেন। খটিতে মাছ শুকিয়ে আড়তদারের কাছে পৌঁছে দেন। প্রধানমন্ত্রী মৎস্য যোজনার নাম শুনেছেন, তা অধরা। কাঁথি মহকুমা খটি মৎস্যজীবী উন্নয়ন সমিতির সম্পাদক কেশব দাস বলেন, মীনাক্ষীর পরে বাসন্তীর সমুদ্রে ট্রলার চালিয়ে মাছ ধরার ঘটনা মৎস্যজীবী মহিলাদের কাছে দৃষ্টান্ত।