অনুরাধা রায় : বাবাকে দেখে শিখেছি। তবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee) আমার রাজনীতির আদর্শ। আর রাজনীতিতে এলাম তাঁকে দেখেই। তাঁর আদর্শকে আমি সম্মান করি। রাজনৈতিক পরিবেশে বেড়ে উঠলেও রাজনীতি করব ভাবিনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাকে সেই সুযোগ দিয়েছেন। একদিন আমাকে উনি বাড়িতে ডেকে বলেন, ‘‘তোমাকে প্রার্থী করতে চাই।” আমি কৃতজ্ঞ। মুখ্যমন্ত্রীর সহযোগিতায় নতুন কলকাতা গড়ার সাক্ষী হতে চাই। বললেন, বসুন্ধরা গোস্বামী। বাবা দীর্ঘদিনের রাজনীতিবিদ। বামপন্থী নেতা। প্রাক্তন প্রয়াত মন্ত্রী ক্ষিতি গোস্বামী (Khiti Goswami)। বসুন্ধরা (Basundhara Goswami) এবার পুরসভা নির্বাচনে কলকাতার ৯৬ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী। পেশায় একজন মনোচিকিৎসক। রাজনীতির ময়দানে তাঁর এই প্রথম প্রকাশ হলেও ঘরানা তাঁর চেনা। সংগঠন কীভাবে করতে হয় তা তিনি জানেন। ভোট কীভাবে করতে হয় তাও তিনি জানেন।
আরও পড়ুন-প্রথা মেনে পদত্যাগ পুর প্রশাসকদের
শনিবার কর্মীদের সঙ্গে মিছিলে পা মেলালেন তিনি। জনসংযোগেই প্রমাণ করলেন তাঁর দক্ষতা। ভোটের আগেই এলাকার উন্নয়নের রূপরেখা একপ্রস্থ তৈরি করে ফেললেন নবাগতা এই প্রার্থী। পুরসভা ভোটের প্রার্থী, প্রথমবার রাজনীতির ময়দানে কী বলবেন? বসুন্ধরা (Basundhara Goswami) বললেন, ‘‘প্রথমে জয়। তারপর কাজ। তবে জয়ের ব্যাপারে দল আছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আশীর্বাদ আছে। এবং সর্বোপরি মানুষের আশীর্বাদ, দোয়া সব আছে। আমার প্রচারের অভিমুখই হবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘জল ধরো, জল ভরো প্রকল্প’ তা মানুষকে ভাল করে বোঝানো। জলের অপচয় বন্ধ হোক। জলকে রক্ষা করা, এটাই আমার আসল দিক। মুখ্যমন্ত্রীর এই ভাবনাকে আরও বেশি করে বাস্তবায়িত করাই আমার লক্ষ্য। কলকাতার প্রান্তিক এলাকাতেও মানুষকে জল সংরক্ষণে সচেতন করতে চাই।’’