প্রতিবেদন : উৎসবের ঢাকে কাঠি পড়তে আর দিন কয়েক বাকি। এর মধ্যেই বন্যাকবলিত একাধিক জেলা। প্লাবনের আশঙ্কা উত্তরবঙ্গের বেশ কিছু জেলাতেও। এই অবস্থায় নেতা-মন্ত্রীদের দুর্গত মানুষের পাশে থাকার বার্তা দিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার নবান্নে রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠক থেকে এই মর্মে জনপ্রতিনিধিদের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। রবিবার শিলিগুড়ি থেকে উত্তরবঙ্গের বন্যা পরিস্থিতি পর্যালোচনা বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন-বাম জমানায় ডাঃ চন্দন সেন খুনের কথা উঠে এল বিচারপতিদের মুখে
এদিন তিনি দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিকে নিয়ে একই রকমের এক পর্যালোচনা বৈঠক করে বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন। দক্ষিণবঙ্গের সব জেলার জেলাশাসক, পুলিশ সুপার, পুলিশ কমিশনার, সরকারি বিভিন্ন দফতরের সচিবরা ওই ভার্চুয়াল বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকের পর রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ জানিয়েছেন, তিনি আসন্ন উৎসবের দিনগুলিতেও দক্ষিণবঙ্গের সব জেলা প্রশাসনের শীর্ষ কর্তা, মন্ত্রী-সহ এলাকার জনপ্রতিনিধিদের বন্যাদুর্গত এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের পাশে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। বন্যাদুর্গতদের কাছে দ্রুত ত্রাণ পৌঁছে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। বুধ এবং বৃহস্পতিবার ভরা কটাল রয়েছে। তার জন্য সবাইকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। প্রয়োজনে বিপজ্জনক এলাকায় থাকা মানুষজনকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে আসার কথা বলা হয়েছে। উত্তর এবং দক্ষিণবঙ্গে বন্যা এবং ভূমিধসে কতটা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সেটা খতিয়ে দেখার জন্য সমীক্ষার কাজ শুরু হয়েছে বলে মুখ্যসচিব জানিয়েছেন। তিনি জানান, যতক্ষণ না পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক হচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত রাজ্য সরকার ত্রাণ দেওয়ার কাজ চালিয়ে যাবে।
আরও পড়ুন-দিনের কবিতা
মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট ভাষায় তাঁর মন্ত্রীদের এদিন জানিয়ে দিয়েছেন যে, মানুষগুলির জীবন বন্যার কারণে বিধ্বস্ত৷ তাঁদের পাশে থাকুন। বিশেষ করে সেই সমস্ত মন্ত্রীরা, যাঁদের জেলায় বন্যা হয়েছে, তাঁরা এলাকার মানুষদের জন্য বেশি করে সময় দিন। এদিন যে সমস্ত জেলায় বন্যা হয়নি সে সমস্ত জেলার মন্ত্রীদেরও বন্যাবিধ্বস্ত এলাকার মানুষের জন্য ত্রাণসামগ্রী সংগ্রহ এবং সাহায্যের জন্য অনুরোধ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। উল্লেখ্য, এই মুহূর্তে রাজ্যের বিস্তীর্ণ এলাকা বন্যাকবলিত। লাগাতার বৃষ্টি ও তার উপরে জলাধারের জল ছাড়ার কারণে তৈরি হওয়া বন্যা পরিস্থিতিতে দক্ষিণবঙ্গের জেলার পর জেলা জলের তলায়। গত কয়েকদিনে সিকিম পাহাড়ের জলে একই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে উত্তরবঙ্গেও।