এখন সংক্রমণ কিছুটা কমে গেলেও ভবিষ্যতে যে সেটা আবার কোন বড় আকার ধারণ করবে না সেই নিয়ে নিশ্চিত কেউ হতে পারছে না। এবার সেই ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা করেই রাজ্যেগুলি নিয়ন্ত্রণমূলক কিছু পদক্ষেপ নিচ্ছে। এই অবস্থায় কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্য সরকারগুলির জন্য নির্দেশিকা জারি করেছে ।
আরও পড়ুন- করোনা বিধি মেনেই রেড রোডে স্বাধীনতা দিবস উদযাপন
করোনাভাইরাস যে এখনও ঠিক কতটা বিপজ্জনক, সেটা দ্বিতীয় ঢেউ খুব ভাল করেই বুঝিয়ে দিয়েছে আর বিশেষজ্ঞদের মতে তৃতীয় ঢেউ এর ক্ষেত্রে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে শিশুরা।
কেন্দ্রীয় সরকার গত ৯ জুলাই ২৩ হাজার কোটি টাকার কোভিড প্যাকেজ ঘোষণা করেছিল । হিসেবে মত এখানে বরাদ্দ অর্থ এক বছরে ব্যয় করা হবে।
কেন্দ্রের নির্দেশিকা অনুযায়ী, এই অনুদানের অর্থ দিয়েই রাজ্যগুলিকে স্বাস্থ্য পরিকাঠামো উন্নত করতে হবে। এছাড়া নজর দিতে হবে আনুষঙ্গিক বিষয়গুলির ওপরেও। এরপর রাজ্য সরকার কোভিডের বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ নিচ্ছে, তার বিবরণ দিতে হবে কেন্দ্রকে।
এই অবস্থায় শিশুদের জন্য ২০ শতাংশ শয্যা বরাদ্দ করা হয়েছে। করোনা মহামারির প্রথম দিকেই প্রাথমিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় অনেক রকম অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয়েছিল। দেখা গিয়েছিল ব্লক স্তরে কোন অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা ছিল না। সরকারের তরফেও এবার এই বিষয়টিতে বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, প্রতিটি ব্লকে একটি অ্যাম্বুলেন্স রাখতে হবে এবং কেন্দ্র এর ভাড়া দেবে ।
এছাড়াও বেশ কিছু পরিকল্পনা করা হয়েছে। প্রতিটি জেলায় ওষুধের বাফার স্টক রাখা বাধ্যতামূলক। পিএফএ, অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটর মানুষের সুবিধার্থে যথেষ্ট পরিমাণে রাখতে হবে। নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, ভবিষ্যতের দুর্দিনের কথা মাথায় রেখে সেখানে ১ লক্ষ কনসেন্ট্রেটর থাকা উচিত এবং হাসপাতালের ২০ শতাংশ কোভিড বেড শিশুদের জন্য সংরক্ষিত রাখতে হবেই।