প্রশাসনিক বৈঠকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মানুষের সমস্যার কথা ভেবে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। বিগত দিনের মত এবারও তিনি প্রতিশ্রুতি পূরণ করলেন। মুখ্যমন্ত্রী মঙ্গলবার ভার্চুয়ালি বসিরহাট সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের ১০ শয্যা বিশিষ্ট ডায়ালিসিস ইউনিটের উদ্বোধন করলেন। উদ্বোধনের আগে বিষয়টি খতিয়ে দেখলেন জেলাশাসক শরদ কুমার দ্বিবেদী, বসিরহাট দক্ষিণের চিকিৎসক বিধায়ক ডাঃ সপ্তর্ষি বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ অন্যান্যরা।
মুখ্যমন্ত্রী এদিন বসিরহাট হাসপাতালে ১০ শয্যা বিশিষ্ট ডায়ালিসিস ইউনিটের পাশাপাশি এই জেলায় মোবাইল ফুড টেস্টিং ল্যাব ও ফুড সেফটি অন হুইল এরও উদ্বোধন করেন। বসিরহাট সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে আগেই ৫ শয্যা বিশিষ্ট ডায়ালিসিস বিভাগ ছিল। যেটা প্রয়োজনের তুলনায় কম ছিল। বসিরহাট জুড়ে ডায়ালিসিস রোগীর যা চাপ এই হাসপাতালে তাতে এই ৫ শয্যা বিশিষ্ট ডায়ালিসিস বিভাগে তা সামাল দিতে পারছিলেন না হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। রোগীদের বহুদিনের চাহিদা ছিল বসিরহাট হাসপাতালে ডায়ালিসিস বিভাগের শয্যা সংখ্যা বাড়ানো হোক। হাসপাতালে ডায়ালাইসিস বিভাগ থাকা সত্ত্বেও বহু রোগীকে কলকাতা-সহ বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যেতে হতো। যেটা রীতিমতো ব্যয়বহুল এবং সমস্যায় পড়তে হত রোগীর পরিবারকে। তাদের সেই সমস্যার কথা স্থানীয় বিধায়ক ডাঃ সপ্তর্ষি বন্দ্যোপাধ্যায়কে। চিকিৎসক বিধায়ক মানুষের সমস্যার কথা জানিয়েছিলেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। বিষয়টি শুনে প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী কথা দিয়েছিলেন বসিরহাট সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ডায়ালিসিস বিভাগে শয্যা সংখ্যা বাড়ানো হবে। বিধায়ক ডাঃ সপ্তর্ষি জানান, সেই প্রতিশ্রুতি মত কয়েক কোটি টাকা ব্যায়ে ১০টি অত্যাধুনিক ডায়ালেসিস মেশিন বসানো হয়েছে। সেই অনুযায়ী ৫ থেকে বেড়ে ১০ শয্যা বিশিষ্ট ডায়ালিসিস বিভাগ তৈরি হয়ে গিয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুর ১ টা নাগাদ মুখ্যমন্ত্রী ভার্চুয়ালি ইউনিটটির উদ্বোধন করেন। ফলে ডায়ালিসিস রোগীদের আর ওয়েটিং লিস্টে থাকতে হবে না। ফলে বসিরহাট মানুষের যথেষ্ট উপকার হবে। বসিরহাটের মানুষ মুখ্যমন্ত্রীর এই প্রতিশ্রুতি পূরণকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলাশাসক শরদ কুমার দ্বিবেদী, বসিরহাট পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার ডাঃ মেহেদী রহমান হোসেন মহকুমা শাসক আশিষ কুমার-সহ অনেকেই।
আরও পড়ুন- বড় বড় চোর উত্তরপ্রদেশ-রাজস্থানে বসে আছে! ইলামবাজারে তোপ দাগলেন মুখ্যমন্ত্রী