প্রতিবেদন : মাঠে মাঠে সরষে ফুল ফোটা শুরু হতেই মধু সংগ্রহের জন্য মৌমাছির বাক্স বসানো শুরু করেছেন করিমপুরের মধুচাষিরা। তবে জমিতে অতিরিক্ত রাসায়নিক ও কীটনাশক ব্যবহার করায় গত কয়েক বছর মৌচাষে ক্ষতি হওয়ায় ভাল মধু সংগ্রহ নিয়ে চিন্তায় আছেন তাঁরা। তাঁদের কথায়, নভেম্বর মাসের শুরু থেকে বিভিন্ন জায়গায় সরষে চাষ হয়। আর সেই সরষে গাছে ফুল ধরতেই মধু সংগ্রহের জন্য জমিতে মৌমাছির বাক্স বসানো হয়।
আরও পড়ুন-গম্ভীরের পাশে রায়না, তোপ দাগলেন শ্রীকান্ত
কিন্তু ফসলে ব্যাপক হারে কীটনাশক ব্যবহারের ফলে সমস্যায় পড়ছেন তাঁরা। বছর দশেক আগেও এখানে স্থানীয়-বহিরাগত বহু চাষিই মৌচাষ করতেন। এখন সেই সংখ্যাটা অনেক কম। এখনও যাঁরা মৌচাষে যুক্ত তাঁদের বেশিরভাগই অন্য জেলার। জানা গিয়েছে, বিভিন্ন ফসলের ফুলের মধু সংগ্রহ করে মৌমাছিরা। কাঠের তৈরি বাক্সে তাদের ঘরে রাখা হয়। প্রতি বাক্সে ১০টি করে প্লেট থাকে যেখানে কৃত্রিমভাবে তৈরি বাসায় থাকে মৌমাছিরা। সেই বাক্স খুলে দিলেই প্রায় তিন কিমি ব্যাসার্ধ এলাকা ঘুরে ঘুরে মধু নিয়ে ফের সেই নির্দিষ্ট বাসা-বাক্সে এনে তারা জমা করে। কিন্তু এলাকায় আনাজ চাষ বাড়ায় কীটনাশক ও রাসায়নিক সারের ব্যবহার বেড়েছে। সেই কারণে মৌমাছিরাও মারা যাচ্ছে। জানা যায়, সুন্দরবনের গরান, কেওড়া ফুলের মতো এই এলাকার ধনে, কালো জিরে ও সরষে ফুল থেকেও ব্যাপক মধু মিলত। কিন্তু এখন মৌচাষের খরচ বেড়ে যাওয়ায় আর সেভাবে লাভ হচ্ছে না।

