সংবাদদাতা, গঙ্গাসাগর : শনিবার ভোর থেকে গঙ্গাসাগরে হবে এবারের শাহিস্নান। চলবে পরদিন রবিবার সকাল পর্যন্ত। কিন্তু তার আগেই সাগরমেলায় মানুষ আর মানুষ। কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারিকা মিলেমিশে একাকার। সকলেই চলেছেন সাগরমেলার উদ্দেশে। জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহ থেকেই ভিড় শুরু হয়। মেলা শুরুর পর ভিড় দ্বিগুণ হয়েছে।
আরও পড়ুন-ধ্বংসের মধ্যেও রাতের অন্ধকারে সুড়ঙ্গ খনন
৮ জানুয়ারি থেকে মেলার সব সুযোগসুবিধা চালু করে জেলা প্রশাসন। মঙ্গলবার বিকেলে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের পরে মেলা আরও রঙিন হয়ে ওঠে। বাবুঘাট থেকে ডায়মন্ড হারবার, কুলপি, কাকদ্বীপ ঢোকার মুখে তৈরি বাফার জোনগুলিতে যাত্রীনিবাস, শৌচাগার, পানীয় জলের সুবিধা, মেডিক্যাল টিম, সাংস্কৃতিক মঞ্চ আছে। মঞ্চে লোকপ্রসার প্রকল্পের শিল্পীরা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করছেন। পুণ্যার্থীদের নিরাপত্তার জন্য ডায়মন্ড হারবার ও সুন্দরবন পুলিশ জেলার পাশাপাশি কলকাতা পুলিশের ভ্রাম্যমাণ টিম রাস্তায় আছে। কাকদ্বীপের ৮ নম্বর লটের পাঁচটি জেটি দিয়ে পুণ্যার্থীরা সাগরের পথে এগিয়ে চলেছেন।
আরও পড়ুন-‘কাল বিবেকানন্দের জন্মদিনে গঙ্গা আরতির প্রস্তুতি শুরু হবে’, জানালেন মুখ্যমন্ত্রী
জেটিগুলিতে পুলিশ ও ভারত সেবাশ্রম সংঘের স্বেচ্ছাসেবকরা পুণ্যার্থীদের সাহায্য করছেন। মুড়িগঙ্গা নদীতে সর্বদা চলাচল করছে ভেসেল। কচুবেড়িয়াতেও পাঁচটি জেটি দিয়ে পুণ্যার্থীরা পারাপার করছেন। মুড়িগঙ্গা নদীতে পুলিশ স্পিড বোট নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। পুণ্যার্থীদের জন্য জল, স্থল ও আকাশপথে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হয়েছে। বুধবার সকাল থেকেই মেলার মাঠে ধ্যানকেন্দ্র চালু হয়ে গিয়েছে। রাশিয়া ও ইউক্রেন থেকে আসা বিদেশি পুণ্যার্থীরা শান্তির বাণী প্রচার করেন।