সংবাদদাতা, গঙ্গাসাগর : সামনেই গঙ্গাসাগর মেলা। সেই নিয়েই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাগর-সফরের আগেই সেখানকার ব্যবস্থাপনা ঘুরে দেখলেন দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু। শনিবার মেলার অগ্নি-নির্বাপক ব্যবস্থা ও প্রস্তুতি খতিয়ে দেখেন তিনি। পরে মেলা অফিসে দমকল আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন মন্ত্রী। সঙ্গে ছিলেন সুন্দরবন উন্নয়নমন্ত্রী বঙ্কিম হাজরা, আধিকারিক অভিজিৎ পান্ডে, অতিরিক্ত জেলাশাসক-সহ পুলিশ প্রশাসনের আধিকারিকরা। প্রতিবারের মতো এবারও মেলাকে সম্পূর্ণ নিরাপদ রাখতে স্পেশ্যাল এমারজেন্সি সার্ভিসের ৭৫টি অগ্নি-নির্বাচক বাইক কাজ করবে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী সুজিত বসু। একইসঙ্গে বাবুঘাট থেকে মেলা গ্রাউন্ড পর্যন্ত ৪৫০ জন দমকল আধিকারিক ও কর্মী কাজ করবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন-দেশে গ্রামীণ অর্থনীতিকে পথ দেখাচ্ছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী
এবারও গঙ্গাসাগর মেলায় কয়েকলক্ষ পুণ্যার্থী আসার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই এখন থেকেই নদীপথে কড়া পুলিশি নজরদারি শুরু হয়েছে। সুন্দরবনের জল সীমানায় জোরকদমে নজরদারি শুরু করেছে পুলিশ। বঙ্গোপসাগরে উপকূলরক্ষী বাহিনী ও নৌবাহিনী সুন্দরবনের প্রায় ১৫০ কিমি নদীপথ জুড়ে চালাচ্ছে নজরদারি। সুন্দরবন পুলিশ জেলার তরফে এফআইবি দিয়ে ক্রমাগত সার্চ অপারেশন ও পেট্রোলিং চলছে গোবর্ধনপুর, নামখানা, ফ্রেজারগঞ্জ, কাকদ্বীপ ও সাগরে। তল্লাশি চলছে মৎস্যজীবীদের ট্রলারেও। এছাড়াও মৎস্যজীবীদের বৈধ পরিচয়পত্র, লাইসেন্স খতিয়ে দেখছে পুলিশ। গঙ্গাসাগর মেলার জন্য জলপথে কয়েকগুণ নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। পুলিশ সুপার কোটেশ্বর রাও জানিয়েছেন, এবছর সাগরমেলায় ১২ হাজার ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে। উপকূলরক্ষী বাহিনী, নৌবাহিনী এবং বিএসএফের যৌথভাবে নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করছে।