প্রতিবেদন : কিছুদিন আগেই মুখ্যমন্ত্রী বদলাতে হয়েছে। বদলাতে হয়েছে গোটা মন্ত্রিসভা। কিন্তু তাতেও মোদির রাজ্য গুজরাতে স্বস্তিতে নেই বিজেপি। ফের বড়সড় রদবদল হল গুজরাত মন্ত্রিসভায়। ক্ষমতা ছেঁটে দেওয়া হল রাজ্যের দুই (Purneah Modi and Rejendra Trivedi) গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রীর। এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, বিধানসভা নির্বাচনের আগে মোদি-শাহর রাজ্যেও কি চাপে রয়েছে বিজেপি?
আরও পড়ুন: স্বাধীনতা দিবসেই হামলা চালাতে পারে রাশিয়া, সতর্কবার্তা জেলেনস্কির
দুই প্রভাবশালী মন্ত্রী পূর্ণেশ মোদি এবং রাজেন্দ্র ত্রিবেদীর দায়িত্ব কমানোর কথা বলেছে রাজ্য সরকার। কিন্তু এই সরল যুক্তি মানতে নারাজ রাজনৈতিক মহল। রাজেন্দ্রর কাছ থেকে কেড়ে নেওয়া হয়েছে রাজস্ব দফতর। সড়ক নির্মাণ দফতরের দায়িত্ব খুইয়েছেন পূর্ণেশ। এই দুই মন্ত্রীর কাছ থেকে কেড়ে নেওয়া দুটি দফতরের দায়িত্ব সামলাবেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল। রাজ্যের রাজনীতিতে কান পাতলে শোনা যাচ্ছে, এই দুই মন্ত্রীর কাজে একেবারেই খুশি নন মুখ্যমন্ত্রী। সে কারণেই দফতরগুলি নিজের হাতে নিলেন তিনি। রাজনৈতিক মহল মনে করছে, এর ফলে গুজরাতে বিজেপির অন্তর্দ্বন্দ্ব আরও তীব্র হবে। নিশ্চিতভাবেই বিধানসভা নির্বাচনের আগে যা বিপাকে ফেলতে পারে গেরুয়া দলকে। ডিসেম্বরে গুজরাত বিধানসভার নির্বাচন। রাজনৈতিক মহল মনে করছে, মোদির রাজ্যে এবার প্রবল চাপে আছে বিজেপি। ২০১৭ বিধানসভা নির্বাচনে কোনওরকমে ক্ষমতা দখল করেছিল গেরুয়া দল। কিন্তু এবার প্রতিষ্ঠানবিরোধী হাওয়া আরও প্রবল। অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আপ ও কংগ্রেস অতীতের ব্যর্থতা ভুলে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে। সব মিলিয়ে এবারের লড়াই বিজেপির কাছে আরও কঠিন। সর্বোপরি দিল্লি ও পাঞ্জাব জয়ের পর গুজরাতকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে কেজরিওয়ালের দল। তা বিজেপির জন্য অশনি সঙ্কেত। নির্বাচনের আগে তাই মুখ্যমন্ত্রী নিজে সব মন্ত্রকের কাজ ও খামতি খতিয়ে দেখতে নেমেছেন।