প্রতিবেদন: শত্রুর শত্রু আমার বন্ধু। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কড়া শুল্কনীতির মোকাবিলা করতে এবার সীমান্ত তিক্ততা ভুলে ভারতের হাত ধরতে চায় চিন। জিনপিং প্রশাসনের মতে, ট্রাম্পের সাম্প্রতিক নীতির জেরে বিশ্বজুড়ে মন্দার পরিস্থিতি তৈরির আশঙ্কার মুখে ভারত ও চিনের আরও কাছাকাছি আসা উচিত। সঙ্কটে হাতে হাত মিলিয়ে দুই দেশ যদি একে অপরের পাশে দাঁড়াতে পারে তবেই উদ্ভূত চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করা সম্ভব হবে। এবিষয়ে নয়াদিল্লির উদ্দেশে বার্তা দিয়েছেন ভারতের চিনা দূতাবাসের মুখপাত্র ইউ জিং।
আরও পড়ুন-চিনের পণ্যে চাপল ১০৪ শতাংশ শুল্ক
চিনা কূটনীতিক তাঁর এক্স হ্যান্ডলের পোস্টে ভারত এবং চিনের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক স্তরে অর্থনৈতিক এবং বাণিজ্যিক সম্পর্ক বাড়ানোর উপর জোর দিয়েছেন। তাঁর মতে, দুদেশের সম্পর্ক আরও উন্নত হলে এইসব বাধা কাটিয়ে ওঠা যাবে। স্পষ্টতই, আমেরিকার শুল্কনীতির মোকাবিলা করতে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বাড়ানোর পক্ষে বেজিং। ইউ জিং-এর কথায়, ভারত ও চিনের মতো দুই বৃহত্তম উন্নয়নশীল দেশের উচিত সমস্যার মুখে একজোট থাকা। চিনা দূতাবাসের মুখপাত্র মনে করেন, মার্কিন শুল্কের মুখে পড়ে দেশগুলি তাদের উন্নয়নের অধিকার থেকে বঞ্চিত হবে। বাণিজ্য বা শুল্কযুদ্ধে কোনও দেশই জয়ী হতে পারে না। সমস্ত দেশের উচিত বহুপাক্ষিক বিশ্বব্যবস্থাকে গুরুত্ব দিয়ে ট্রাম্পের খামখেয়ালি সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করা।