সংবাদদাতা, হাওড়া: হাওড়ার বেলগাছিয়া (Belgachia) ভাগাড় নিয়ে একগুচ্ছ পরিকল্পনার কথা জানালেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। সোমবার বেলগাছিয়া ভাগাড় পরিদর্শনে আসেন ফিরহাদ। সেখানকার সাইট অফিসে জেলা প্রশাসনের কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। বৈঠকে ছিলেন জেলাশাসক পি দিপাপ প্রিয়া, নগরপাল প্রবীণ ত্রিপাঠী, দুই বিধায়ক কল্যাণ ঘোষ, গৌতম চৌধুরি, হাওড়ার মুখ্যপুর প্রশাসক ডাঃ সুজয় চক্রবর্তী, ভাইস চেয়ারম্যান সৈকত চৌধুরি-সহ আরও অনেকে।
আরও পড়ুন-দমাতে পারেনি ৪ ডিগ্রি তাপমাত্রাও, হাইড পার্কে ওয়ার্মআপ মুখ্যমন্ত্রীর
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ফিরহাদ হাকিম বলেন, বেলগাছিয়া ভাগাড়ে জমে থাকা আবর্জনার স্তূপ দ্রুত কেটে পরিষ্কার করা হবে। রোজ ৮০টি ডাম্পারে আবর্জনা এখান থেকে সরানো হবে। নতুন করে আর বেলগাছিয়া ভাগাড়ে আবর্জনা ফেলা যাবে না। হাওড়া শহরের আবর্জনা অন্যত্র ফেলা হবে। এখানকার আবর্জনা দ্রুত বায়োমাইনিংয়ের মাধ্যমে কেটে সাফ করে দেওয়া হবে। তিন বছরের মধ্যে বেলগাছিয়া ডাম্পিং গ্রাউন্ডকে সমতলে পরিণত করা হবে। এখানে প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে বিভিন্ন সামগ্রী তৈরি করা হবে। বায়োমাইনিংয়ের কাজ আরও দ্রুত করা হবে। ভাগাড়ে ধস নামার ফলে বন্ধ হয়ে যাওয়া নিকাশি নালাগুলি নতুন করে কংক্রিটের তৈরি করে দেওয়া হবে। ফিরহাদ হাকিম আরও জানান, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলিকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ হিসেব করতে এলাকায় সমীক্ষা চালাচ্ছে বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর। তিনদিনের মধ্যে সমীক্ষার কাজ শেষ করে চূড়ান্ত রিপোর্ট তৈরি করা হবে। তারপর সেই অনুযায়ী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। তাঁদের প্রয়োজনে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির জন্য অন্যত্র বাড়ি তৈরি করে সেখানে তাঁদের পুনর্বাসন দেওয়া হবে। এখানকার মাটি ধসে যাওয়ায় এখানে আর ঘরবাড়ি তৈরি করা নিরাপদ হবে না। বৈঠকের শেষে মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম এলাকার মহিলাদের সঙ্গে কথা বলেন। মন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে খুশি স্থানীয়রা। মঙ্গলবার পুর দফতরে বেলগাছিয়া ভাগাড় নিয়ে হাওড়া পুরসভা, জেলা প্রশাসন, কেএমডিএ ও বিধায়কদের নিয়ে ফের বৈঠক করবেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেন, এলাকায় জলের সমস্যার সমাধান হয়েছে। জল এসে গিয়েছে। এবার বেলগাছিয়া ভাগাড় থেকে উদ্ভূত পরিস্থিতিও দ্রুত স্বাভাবিক করা হচ্ছে।