বেলপাহাড়ি ক্যাফে, রাস্তা, তোরণে সাজছে

জেলাশাসক সুনীল আগরওয়াল জানিয়েছেন, বন দফতরকে সঙ্গে নিয়ে জেলার বিভিন্ন পর্যটনস্থলে পরিকাঠামোগত উন্নয়নের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

Must read

দেবব্রত বাগ, ঝাড়গ্রাম: জঙ্গল, পাহাড় আর ঝোরা ঘেরা বেলপাহাড়ি এবার আরও আকর্ষণীয় হতে চলেছে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে। এরই অংশ হিসেবে বেলপাহাড়ির দুটি জনপ্রিয় পর্যটনস্থল— খাঁদারানি ও ঢ্যাঙ্গিকুসুমে চালু হতে চলেছে ক্যাফে। পর্যটকেরা পাবেন চা, কফি, চিপস, পকোড়া, চপ ইত্যাদি মুখরোচক খাবার। এই দুই জায়গায় সফল হলে অন্য পর্যটনস্থলেও হবে। জেলাশাসক সুনীল আগরওয়াল জানিয়েছেন, বন দফতরকে সঙ্গে নিয়ে জেলার বিভিন্ন পর্যটনস্থলে পরিকাঠামোগত উন্নয়নের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে রাস্তানির্মাণ, পর্যাপ্ত শৌচাগার, পানীয় জল সরবরাহের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

আরও পড়ুন-প্রত্যয়ী মানোলো, অতীত ভুলতে চান শুভাশিসও

ইতিমধ্যে বিভিন্ন পর্যটনস্থলে শৌচাগার কোথায় রয়েছে, অবস্থা কেমন ইত্যাদি নিয়ে শুরু হয়েছে সমীক্ষা। বিভিন্ন ব্লকের পর্যটন এলাকায় আরও আট-দশটি শৌচাগার নির্মাণ করা হবে। শিমুলপাল সহ বিভিন্ন গ্রামের পাথরশিল্পীদের জন্য একটি স্থায়ী বাজার গড়ার পরিকল্পনা রয়েছে, যাতে শিল্পীরা নির্দিষ্ট জায়গায় তাঁদের সামগ্রী বিক্রি করতে পারেন। ঝাড়গ্রামে ঢোকার মুখে লোধাশুলি এবং বেলপাহাড়ির প্রবেশপথে দুটি সুদৃশ্য গেট নির্মাণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। রুরাল ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট ফান্ডে ৫২ কোটি টাকার প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন মিললে ৬৬ কিমি রাস্তা নির্মাণ করা হবে জেলা পরিষদের মাধ্যমে।
প্রস্তাবিত রাস্তা— বিনপুর-২ ব্লকে চাকাডোবা থেকে কাঁকড়াঝোড় পর্যন্ত ১৫ কিমি। গোপীবল্লভপুর-১ ব্লকে কেন্দুয়াবান্ধী থেকে ঝিল্লি পাখিরালয় পর্যন্ত ৭ কিমি। নয়াগ্রাম ব্লকে ঝরিয়াচক থেকে ধানশোল ও খড়িকামাথানি পর্যন্ত ১৩ কিমি। গোপীবল্লভপুর-২ ব্লকে রামকৃষ্ণপুর থেকে দুধিয়াশোল পর্যন্ত ৫ কিমি এবং ধিরোল বালিগেড়িয়া থেকে ঝুরিয়াশোল পর্যন্ত ৭ কিমি, সাঁকরাইল ব্লকে জঙ্গলকুরুচি থেকে মুরাকাটি পর্যন্ত ১৯ কিমি।

Latest article