প্রতিবেদন : রঞ্জি ট্রফির (Ranji Trophy) সেমিফাইনালে মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) বিরুদ্ধে ব্যাট হাতে জ্বলে উঠলেন অনুষ্টুপ মজুমদার ও সুদীপ ঘরামি। জোড়া সেঞ্চুরি এল তাঁদের ব্যাট থেকে। যদিও তাল কাটল শেষবেলায়! মাত্র চার রানের ব্যবধানে পরপর প্যাভিলিয়নে ফিরলেন অনুষ্টুপ ও সুদীপ। ফলে প্রথম দিনের শেষে বাংলার (West Bengal) রান ৪ উইকেটে ৩০৭। এই দুটো উইকেট না হারালে আরও বেশি স্বস্তিতে থাকত বাংলা শিবির।
ইন্দোরের পিচে পরের দিকে বল ঘুরতে পারে। তাই বুধবার টস জিতে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলার অধিনায়ক মনোজ তিওয়ারি (Manoj Tiwary)। তবে স্কোরবোর্ডে ৫১ রান তুলতে না তুলতেই অভিমন্যু ঈশ্বরণ (২৭) ও করণ লালের (২৩) উইকেট খুইয়ে বসেছিল বাংলা। ওই পরিস্থিতিতে পাল্টা লড়াই শুরু করেন অনুষ্টুপ ও সুদীপ। শুরুতে সতর্ক থাকলেও, ক্রিজে সেট হওয়ার পর হাত খোলেন দু’জনেই। তবে ব্যক্তিগত ২৬ রানে সুদীপের সহজ ক্যাচ ফেলে দেন স্লিপে দাঁড়ানো রজত পাতিদার। সেই সুযোগ পুরোপুরি কাজে লাগিয়েছেন সুদীপ। ব্যক্তিগত ৮৫ রানে ফের একবার বেঁচে যান তিনি।
আরও পড়ুন-৪৮ ঘণ্টা সময় দিল তৃণমূল, ত্রিপুরা ও অসম রাজ্য ভাগের দাবিকে নস্যাৎ
অন্যদিকে, অনুষ্টুপ এই ম্যাচটা খেলতে নেমেছিলেন বাঁ হাতের বুড়ো আঙুলের চোট নিয়ে। মোটা ব্যান্ডেজ বেঁধে ব্যাট করেছেন তিনি। একবার আঙুলে বলও লেগেছিল তাঁর। কিন্তু যন্ত্রণা উপেক্ষা করেই দলকে টেনে নিয়ে গিয়েছেন অনুষ্টুপ। তৃতীয় উইকেটে সুদীপের সঙ্গে তাঁর ২৪১ রানের জুটিটাই বাংলাকে প্রাথমিক বিপর্যয়ের হাত থেকে বাঁচিয়ে দিয়েছিল।
শেষ পর্যন্ত ১২০ রান করে আবেশ খানের শিকার হয়ে সাজঘরে ফেরেন অনুষ্টুপ। তাঁর ২০৬ বলের ইনিংসে (Ranji Trophy) ছিল ১৩টি চার ও একটি ছয়। পরের ওভারেই অনুভব আগরওয়ালের বলে আউট হন সুদীপ। তিনি ২১৩ বলে ১১২ রান করেছেন। দিনের শেষে মনোজ ৫ রানে ও শাহবাজ আহমেদ ৬ রানে ব্যাট করছেন। অন্য সেমিফাইনালে মায়াঙ্ক আগরওয়ালের অপরাজিত সেঞ্চুরিতে সৌরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ৫ উইকেটে ২২৯ রান তুলেছে কর্ণাটক।