প্রতিবেদন : রেশনের স্বচ্ছ ব্যবস্থাপনায় মোদি-যোগী রাজ্যের থেকে অনেক এগিয়ে বাংলা। কেন্দ্রের রিপোর্টেই উঠে এসেছে সেই তথ্য। সম্প্রতি খাদ্য মন্ত্রকের প্রকাশিত রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, দেশের অধিকাংশ রাজ্যের তুলনায় স্বচ্ছ রেশন ব্যবস্থাপনা রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাংলাতেই। বিজেপির ‘ডাবল ইঞ্জিন’ রাজ্যগুলি সেখানে অনেক পিছিয়ে। পিছিয়ে মোদি-যোগীদের রাজ্যও।
আরও পড়ুন-বাংলা-ব্রিটেন সম্পর্ককে শক্তিশালী করার বার্তা, হাইকমিশনে হাই টি-তে যোগ মুখ্যমন্ত্রীর
সম্প্রতি খাদ্যমন্ত্রকের তরফে পরিসংখ্যান সহযোগে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়। রাজ্যগুলির খাদ্যসচিবদের বিশেষ সম্মেলনের আগে প্রকাশিত সেই রিপোর্টেই হতাশজনক ফল বিজেপির ডাবল ইঞ্জিন রাজ্যগুলির। রেশন ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা আনতে কেন্দ্র যে-সমস্ত নির্দেশিকা দিয়েছিল, তা সঠিকভাবে পালন করা হয়নি বিজেপি ও এনডিএ-শাসিত রাজ্যগুলিতে। বরং গ্রাহকের ই-কেওয়াইসি থেকে শুরু করে আধারের বায়োমেট্রিক যাচাই, রেশন দোকানের ই-পস যন্ত্রের সঙ্গে ইলেকট্রনিক ওজনযন্ত্রের সংযুক্তকরণ— সবেতেই এগিয়ে বাংলা। কেন্দ্রীয় রিপোর্ট অনুযায়ী, বাংলায় ৯৩ শতাংশ রেশন গ্রাহকের ই-কেওয়াইসি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। কিন্তু বিজেপিশাসিত উত্তরপ্রদেশে তা হয়েছে ৭৩.২ শতাংশ, মোদি-রাজ্য গুজরাতে হয়েছে ৭২.৯ শতাংশ। হরিয়ানায় হয়েছে মাত্র ৪৬.৩ শতাংশ। আর মহারাষ্ট্রের পরিস্থিতি আরও খারাপ। সেখানে হয়েছে মাত্র ৩৪ শতাংশ। ৩৬টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মধ্যে ১৫টিতে ৮০ শতাংশের বেশি ই-কেওয়াইসি হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের মতোই হিমাচলপ্রদেশ, কর্নাটক ও আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে রেশন ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা বজায় রয়েছে, পিছিয়ে পড়েছে ডাবল ইঞ্জিন রাজ্যগুলিও।
আধার বায়োমেট্রিক যাচাই ব্যবস্থার মাধ্যমে বাংলার ৯৯ শতাংশের বেশি গ্রাহক রেশন পান। সেখানে বিজেপি-রাজ্যগুলির হাল খারাপ। বিজেপিশাসিত অরুণাচলে বায়োমেট্রিক যাচাই হয় মাত্র ১০ শতাংশ। আর মণিপুরে রেশন বণ্টনে আধার যাচাই হয় না! বিজেপিশাসিত উত্তরাখণ্ডে আধার যাচাই মাত্র ৬৭ শতাংশ। রেশন গ্রাহকদের সঠিক ওজনের খাদ্যসামগ্রী দিতে ই-পস মেশিনের সঙ্গে ইলেকট্রনিক ওজনযন্ত্র যুক্ত করা হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ-সহ মাত্র সাতটি রাজ্যে। গুজরাত, মধ্যপ্রদেশ, হরিয়ানা-সহ বিজেপিশাসিত রাজ্যগুলিতে এই ব্যবস্থা চালুই হয়নি। অথচ এই বিজেপিরই রেশন নিয়ে বড় বড় কথা।