প্রতিবেদন : তাপমাত্রায় মরুশহর রাজস্থানকে (Rajasthan) টেক্কা দিল বাংলা (West Bengal)। ১২ বছর পর রেকর্ড গড়ল জ্বালাধরানো গরম। রবিবার কলকাতার তাপমাত্রা পৌঁছয় ৩৮ ডিগ্রিতে। ঝাড়গ্রামের তাপমাত্রা ছাড়িয়েছে ৪০ ডিগ্রি। গরমে বিধ্বস্ত বীরভূম, বাঁকুড়া ও পুরুলিয়া। এদিন রাজস্থানের জয়পুরে তাপমাত্রা ছিল ৩৭ ডিগ্রি। তাপপ্রবাহ (Heatwave) পাঞ্জাবেও। আর তার জেরে বদলেছে অফিসের সময়। সকাল সাড়ে সাতটা থেকে দুপুর ২টো পর্যন্ত চলছে দফতরের কাজ। চৈত্র শেষে তাপমাত্রা আরও বাড়বে বলে ইতিমধ্যেই জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। ১লা বৈশাখ পর্যন্ত বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনাই নেই। ইতিমধ্যেই তাপমাত্রায় বর্ধমানকে হার মানিয়েছে দমদম। তবে রবিবার শৈলশহর দার্জিলিংয়ে হালকা বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস। আগামী পাঁচদিনে উত্তর এবং দক্ষিণের জেলাগুলিতে তাপমাত্রা বাড়বে ২ থেকে ৪ ডিগ্রি পর্যন্ত। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস মিলিয়ে ইতিমধ্যেই প্রবল গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া এবং পশ্চিম বর্ধমান জেলায়। দুর্গাপুরে বইছে তাপপ্রবাহ বা লু। সকাল ন’টার মধ্যেই জানালা-দরজা বন্ধ করে দিতে হচ্ছে বাসিন্দাদের। উত্তরের মালদহ, দক্ষিণ দিনাজপুরেও রয়েছে তাপপ্রবাহের সম্ভাবনা। ঝাড়গ্রামে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে তাপপ্রবাহ। এই তাপপ্রবাহ থেকে বাঁচতে চিকিৎসকদের পরামর্শ, প্রচুর পরিমাণে জল খান। রোদ চশমা এবং ছাতা ব্যবহার করুন। এবং হালকা রঙের সুতির পোশাক পরুন। তীব্র গরমের কারণ কী? আবহাওয়া দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, বাতাসের গতিপথে দক্ষিণা বায়ু ব্যাহত হয়েছে। তার ফলে পশ্চিম দিক থেকে প্রবেশ করছে গরম হাওয়া। এই কারণেই বাড়ছে গরম। আগামী ৪/৫ দিনে তাপমাত্রা আরও ২ থেকে ৪° বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানানো হয়েছে হাওয়া অফিসের তরফে।
আরও পড়ুন-ইন্দিরা গান্ধী প্রোজেক্ট টাইগারের ৫০ বছর পূর্তি, দেশে বর্তমানে কটা বাঘ রয়েছে?