নেতাজিকে সম্মান-মর্যাদা দেয়নি কেন্দ্র, দিয়েছে বাংলা, ডুয়ার্সে মুখ্যমন্ত্রী

দেশবরেণ্য নেতার সব ফাইল দিয়েছি দিল্লিতে, ওরা কিছু করেনি, সুভাষচন্দ্রের তৈরি যোজনা কমিশন তুলে দিয়েছে, জন্মদিনে জাতীয় ছুটি দেয় না

Must read

বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী, কালচিনি: দেশের বীর সন্তান, ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের পথিকৃৎ নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুকে মর্যাদা দেয়নি কেন্দ্র, বাংলাই তাঁকে সঠিক সম্মান ও মর্যাদা দিয়েছে। তাঁর তৈরি প্ল্যানিং কমিশনও তুলে দিয়েছে কেন্দ্র। বৃহস্পতিবার ডুয়ার্সের মাটিতে দাঁড়িয়ে নেতাজিকে নিয়ে কেন্দ্রের উদাসীনতা ও অবহেলায় ফের গর্জে উঠলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। সেইসঙ্গে তিনি বলেন, দেশের জন্য এতকিছু করার পরও মানুষটা কোথায় উধাও হয়ে গেল সেটুকু পর্যন্ত আমরা জানতে পারলাম না! আমাদের রাজ্য সরকার নেতাজি-সংক্রান্ত ৬৪টি ফাইল সামনে এনেছে, যাতে মানুষ তাঁর সম্পর্কে জানতে পারে। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকারের এ-বিষয়ে কোনও হেলদোল নেই। বৃহস্পতিবার আলিপুরদুয়ারের সুভাষিণী চা বাগানের মাঠে এবারই প্রথম তরাই-ডুয়ার্সে রাজ্য সরকারের উদ্যোগে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর ১২৮তম জন্মদিন পালন করল রাজ্য সরকার। একইসঙ্গে দেওয়া হল সরকারি পরিষেবাও। এই মঞ্চ থেকেই নেতাজির স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের এই হীরের টুকরো সন্তানকে নিয়ে শুধু রাজনীতিই করেছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। প্রাপ্য মর্যাদা দেয়নি। নেতাজির তৈরি নীতি আয়োগ বাতিল করেছে এই বিজেপি সরকার। মুখ্যমন্ত্রীর (CM Mamata Banerjee) কথায়, নেতাজি দেশবাসীকে স্বাধীনতার শিক্ষা ও রাজনৈতিক দীক্ষা দিয়েছিলেন। নেতাজি আমাদের পথপ্রদর্শক, তিনি আমাদের চিন্তনে, মননে–– তিনি আমাদের দেশনায়ক। স্বাধীনতা সংগ্রামে দেশের জন্য লড়াইয়ে যিনি সেনাবাহিনী তৈরি করেছিলেন তিনি আর কেউ নন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু। আমরা যে ‘জয়হিন্দ’ স্লোগান তুলে দেশের গৌরবগাথা তুলে ধরি তা নেতাজির লেখা।

আরও পড়ুন- নাবালিকা যৌন নির্যাতনে যাবজ্জীবন

নেতাজির আদর্শ ছিল সকলকে সঙ্গে নিয়ে চলা। এই কারণেই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁকে দেশনায়ক আখ্যা দিয়েছিলেন। আজকের দিনটিকে তাই আমরা দেশপ্রেম দিবস হিসেবে পালন করি। আজকের দিনে আমরা সকল দেশবরেণ্য স্বাধীনতা সংগ্রামীকে স্মরণ করছি। এই জেলার বক্সা দুর্গে স্বাধীনতা সংগ্রামীরা ছিলেন, তাই আজকে ডুয়ার্সে আমরা নেতাজির জন্মদিনের অনুষ্ঠান উদযাপন করছি। আমাদের দুর্ভাগ্য আমরা তাঁর জন্মদিন জানি কিন্তু মৃত্যুদিন জানি না। নেতাজি চক্রন্তের শিকার। নিজের দেশের জন্য কত লড়াই করেছেন তিনি, অথচ কোথায় হারিয়ে গেলেন তিনি আমরা জানতেও পারলাম না! কিন্তু আমরা রাজ্য সরকারের তরফ থেকে তাঁর অন্তর্ধান-সংক্রান্ত ৬৪টি ফাইল সকলের সামনে তুলে ধরেছি। আলিপুর জেলে যে কুঠুরিতে তিনি থাকতেন আমরা সেটিকে সংস্কার করে মানুষের দেখার জন্য খুলে দিয়েছি। আজকের এই বিশেষ দিনে তাঁকে প্রণাম জানাই।

Latest article