কেন্দ্র ন্যায্য পাওনা দেয়নি। বাংলার গরিব মানুষের মাথার উপর ছাদের ব্যবস্থা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। কথা রাখলেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। মঙ্গলবার থেকে ‘বাংলার বাড়ি’ (Banglar Bari) প্রথম কিস্তির টাকা দেওয়ার কাজ শুরু করল রাজ্য সরকার। ১২ লক্ষ পরিবার প্রথম কিস্তিতে ৬০ হাজার টাকা পাবেন। এদিন নবান্ন সভাঘরে প্রতীকী হিসেবে ২১ জেলার ৪২ জন উপভোক্তার হাতে চেক ও স্মারকপত্র তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী। একই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন, “যে ১৬ লক্ষের বাড়ি বাকি রইল, সেটাও ২০২৬ সালের আগে আমরা ২ দফায় করে দেব। আগামী বছরের মে-জুন মাসে প্রথমে ৮ লক্ষ এবং ডিসেম্বরে বাকি ৮ লক্ষকে বাড়ি তৈরির টাকা দেবে রাজ্য।“
আরও পড়ুন- এ কী হাল! ডিজিটাল ইন্ডিয়ার মাত্র ২৪ শতাংশ স্কুলে ইন্টারনেট, পিছিয়ে বিজেপি-রাজ্যগুলি
মোদি সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগে মুখ্যমন্ত্রী (CM Mamata Banerjee) বলেন, “আবাসে ১ নম্বর থাকা সত্ত্বেও গত ৩ বছর ধরে কেন্দ্র টাকা দেয়নি, বাংলার গরিব মানুষরা বঞ্চিত হচ্ছিলেন। তাই আমরা নিজেরাই ওই বাড়ি তৈরি করে দেব বলেছিলাম। সেই কথা রাখার কাজ শুরু হল। আমরা কথা রাখতে জানি।” ‘বাংলার বাড়ি’-র (Banglar Bari) প্রথম দফায় ৬০ হাজার টাকা দেওয়া হচ্ছে। সেই কাজ শেষ হলে পরের কিস্তিতে আরও ৬০ হাজার টাকা দেওয়া হবে।
প্রথম কিস্তিতে ১২ লক্ষ পরিবার ৬০ হাজার টাকা পাবেন। এজন্য রাজ্যের ব্যয় হবে মোট ১৪,৭৭৩ কোটি টাকা। এদিন থেকেই সরাসরি উপভোক্তাদের অ্যাকাউন্টে পৌঁছে যাবে ওই টাকা। মুখ্যমন্ত্রী জানান, “রাজ্য কথা দিলে কথা রাখে।” তাঁর কথায়, “বাকি যে ১৬ লক্ষের বাড়ি বাকি রইল, সেটাও ২০২৬ সালের আগে আমরা দু-দফায় করে দেব। আগামী বছরের মে-জুন মাসে প্রথম ৮ লক্ষ এবং ডিসেম্বরে বাকি ৮ লক্ষকে বাড়ি তৈরির টাকা দেবে রাজ্য।”