দেশে প্রথম, রেশনের চালের পুষ্টিগুণ বজায় রাখতে আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে চুক্তি বাংলার সরকারের

Must read

রেশনের (Ration) চালের পুষ্টিগুণ অক্ষুণ্ন রাখতে এক আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধল বাংলার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। রাজ্যের খাদ্য দফতর এই মর্মে কানাডার নিউট্রিশন ইন্টারন্যাশনাল নামে ওই পুষ্টি বিশেষজ্ঞ সংস্থার সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে। কানাডার এই সংস্থাটি রেশনের চালের পুষ্টিগুণ বাড়াতে রাজ্যকে কারিগরি সহায়তা দেবে। সেজন্য বাংলায় একটি প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট ‌‌ইউনিট গঠন করবে তারা।

খাদ্য দফতর থেকে সম্প্রতি নির্দেশিকা জারি করে বলা হয়েছে, জেলার খাদ্য নিয়ামকের অফিসে বসে ওই সংস্থার অফিসাররা কাজ করবেন। তাঁদের জন্য নির্দিষ্ট জায়গার ব্যবস্থা করতে হবে। এ জন্য প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট ‌ইউনিটকে প্রয়োজনীয় তথ্য ও পরিসংখ্যান দিতেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে খাদ্য দফতর থেকে। নির্দেশিকা বলা হয়েছে, এই ইউনিটে রাজ্য পর্যায়ে টেকনিক্যাল কনস্যালট্যান্ট, মনিটরিং অফিসার, সফটওয়্যার ডেভেলপার, কেমিস্টরা থাকবেন। সংস্থার জেলা পর্যায়ের মনিটরিং অফিসার থাকবেন ১৫ জন।

আরও পড়ুন- মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগেই সায়, মোদি সরকারের বিরুদ্ধে সরব এবার বিজেপি-রাজ্যগুলিও

কেন্দ্রীয় সরকার রেশনের (Ration) চালের পুষ্টিগুণ বৃদ্ধির জন্য এই প্রকল্পটি গ্রহণ করে। সাধারণ মানুষের পুষ্টির ঘাটতি দূর করার জন্যই এই প্রয়াস। এই প্রকল্প রূপায়ণে দেশের মধ্যে প্রথম এগিয়ে এল বাংলা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার নিজস্ব রেশন প্রকল্পের আওতাভুক্তদের বিশেষভাবে পুষ্টিযুক্ত চাল দেয়। পুষ্টিযুক্ত চালের গুণগত মান বৃদ্ধিতেও সবার প্রথম এগিয়ে এল রাজ্য। ইতিমধ্যেই চালের নমুনা উন্নত ল্যাবে নিয়মিত পরীক্ষা করার জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এখানে বিশেষ ব্যবস্থার মাধ্যমে পুষ্টিসমৃদ্ধ চাল তৈরি করা হয়। সরকারি উদ্যোগে কেনা ধান থেকে নথিভুক্ত রাইস মিলে চাল উৎপাদন করে রেশন দোকানে পাঠানো হয়। রাইস মিলগুলিতে সাধারণ চালের সঙ্গে ফর্টিফায়েড রাইস কারনেল মেশানো হয় নির্দিষ্ট অনুপাতে। নির্দিষ্ট অনুপাতে ফলিক অ্যাসিড, আয়রন, ভিটামিন যুক্ত করে এফআরকে উৎপাদন করা হয়। এফআরকে বাইরে থেকে দেখতে সাধারণ চালের মতো।

Latest article