আজ রাখি। ঠিক ৭ দিন আগে দেশ জুড়ে পালিত হয়েছে ৭৫ তম স্বাধীনতা দিবস। এই দুয়ের মধ্যে আপাত ভাবে কোনও মিল না থাকলেও বাংলার ইতিহাসে কিন্তু অন্তত, এই বছর, এই রাখি বন্ধনের সঙ্গে রবিকবির ‘এক বাংলা’ ভাবনার গভীর যোগ তৈরি হয়েছে। জাতি ধর্ম নির্বিশেষে প্রতিটি শহরের রাজপথ থেকে বাংলার গ্রামের আলপথের ধারে দাঁড়িয়ে থাকা প্রত্যেক বাঙালি, আর এক বাঙ্গালির কবজিতে বাঁধনের সুতো পরিয়ে দিচ্ছে, এই দৃশ্য দেখার পটভূমি বোধহয় আবার দেখতে হতে পারে, যদি আদৌ ফের বঙ্গভঙ্গের ঘোষণাপত্রে সিলমোহর দেওয়ার বিন্দুমাত্র চেষ্টা করে, কেন্দ্রের গেরুয়া শিবির আর তার মোঃ-শাঃ সরকার। উত্তরবঙ্গের মেচ-রাজবংশি-তামাং জনজাতির হাজার হাজার মানুষ কিন্তু সেদিন মিছিল করে চলে আসবেন দক্ষিনবঙ্গের সবর-খেরিয়া-লোধা-মুণ্ডা ভাইদের হাতে রাখি পরিয়ে, একসাথে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সিংহগর্জন করতে করতে। হতে পারে উল্টো ঘটনাও।
বাংলার ও বাঙ্গালির হয়ে কলম ধরলেন রুপা মজুমদার।
সে এক উত্তাল সময়। ১৯০৫-এর ১৯ জুলাই। ব্রিটিশ ভারতের তৎকালীন ভাইসরয় লর্ড কার্জন বঙ্গভঙ্গের প্রস্তাব ঘোষণা করলেন। অবিভক্ত বাংলাকে শোষণ করা সমস্যা হয়ে দাঁড়াচ্ছিল ক্রমশ। তাই প্রশাসনিক কারণে ইংরেজ শাসকরা ঠিক করলেন, ধর্মের ওপর ভিত্তি করে ভাগ করা হবে বাংলাকে। কলম ধরলেন রবীন্দ্রনাথ। বঙ্গভঙ্গের বিরোধিতায় সেদিনের রবীন্দ্রনাথের রাখি বন্ধনে ছিল সম্প্রীতির বার্তা! আজও যেন আবার প্রাসঙ্গিক সেই ঐক্যের উত্তাল উৎসব। কারণ, এক গেরুয়া সাংসদ চাইছেন (মুখ ফসকে হয়ত গোপন আজেন্দা বলে ফেলে বিপদ বাড়িয়েছেন দলের!) পৃথক উত্তরবঙ্গ রাজ্য বা নিদেনপক্ষে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল। তাদের অপর সাংসদ আবার দাবি করছেন আলাদা জঙ্গলমহল রাজ্যের। টুকরো কি তাহলে দুই না তিন? প্রাক নির্বাচনী আশ্বাসে তাদের দলের একাধিক মুখ্যমন্ত্রীর দাবিদারদের গাজর-ঝোলানো ফানুসের দিবাস্বপ্ন! শিশুদের মত বায়নাক্কা, নাকি সেই স্বপ্নও দেখার আগেই জনগন কেন্দ্র থেকেই ছুটি করে দেবে তাদের? জনরোষের ভয়ে কিম্বা উচিত নয় বুঝে সেই দলের রাজ্য সভাপতি এখন আবার ঢোক গিলেছেন। প্রথমদিকের দিনকয়েক নাকি তাঁর কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। সংবাদমাধ্যমের এসএমএসেরও জবাবও নাকি দেননি তিনি।
গর্জে উঠেছে বাংলা। গর্জে উঠেছেন বাংলার তথা দেশের নেত্রী মমতা ব্যানার্জি। পাশে পেয়েছেন, গেরুয়া-বিরোধী সব রাজনৈতিক দল আর দেশের সংস্কৃতিমহলকে। সরব মুখ্যমন্ত্রীর কথা, বাংলাকে ভাঙতে এলে বাংলার মানুষ তার জবাব দেবে। কিছুদিন আগে ভোটে হেরেও শিক্ষা হয়নি ওঁদের! তিনি টেনে আনেন দিল্লি, কাশ্মীরের প্রসঙ্গ। বলেন, কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করা মানে কী? দিল্লির পায়ে পড়তে হবে! জম্মু কাশ্মীরের মতো মুখ বন্ধ করে রাখতে হবে! এখানেই থামেননি তিনি। কড়া হুঁশিয়ারি, এ সব করা এত সহজ নয়। এর জন্য রাজ্যের অনুমতি লাগে। ওরা চাইলে জলপাইগুড়ি বিক্রি করে দিতে পারে না। আলাদা করে আলিপুরদুয়ার বিক্রি করে দিতে পারে না।
আসলে বঙ্গভঙ্গ আর রাখি উৎসব বাংলার ইতিহাসে একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। তখনকার অবিভক্ত বাংলা মানে কিন্তু বাংলা, বিহার, ত্রিপুরা, আসাম, শ্রীহট্ট সবটা মিলে। ১৯০৫ সালের ১৬ই অক্টোবর ভারতের ভাইসরয় লর্ড কার্জনের আদেশে প্রথম বঙ্গভঙ্গ সম্পন্ন হয়। বাংলা বিভক্ত করে ফেলার ধারনাটি অবশ্য কার্জন থেকে শুরু হয়নি। ১৭৬৫ সালের পর থেকেই বিহার ও উড়িষ্যা বাংলার অন্তর্ভুক্ত ছিল। ব্রিটিশদের যুক্তি ছিল, শাসন করতে নাকি সমস্যা হচ্ছে। বঙ্গভঙ্গের সূত্রপাত এখান থেকেই। পাশ হয়ে গেল বঙ্গ ভঙ্গের প্রস্তাব। তখন শ্রাবণ মাস। ১৬ আগস্ট। কাকতালীয় ভাবে সেটা ছিল রাখি পূর্ণিমা। হিন্দু ঘরের মেয়েরা তাদের ভাই-এর হাতে পরাবে রাখি। অন্যরকম রাখি বন্ধনের কথা মাথায় এল রবীন্দ্রনাথের। ভাই-বোনের নয়, রাখিবন্ধন হয়ে উঠল হিন্দু-মুসলিমের সম্প্রীতি উৎসব। এক ধর্মের মানুষ ভালোবেসে জড়িয়ে ধরে হাতে রাখি পরিয়ে দিচ্ছে যার হাতে, তার ধর্ম আলাদা। হাতে হাত রেখে সাম্রাজ্যবাদী শক্তির দিকে ছুঁড়ে দেওয়া হল প্রতীকী প্রতিবাদ। একটা মানুষের ডাকে ধর্ম নির্বিশেষে সারা বাংলা এক হয়েছিল সে দিন।
প্রতিবাদের ভাষা, চরিত্র বদলেছে ক্রমশ। দীর্ঘ ৬ বছর পর ১৯১১ সালে ভাইসরয় লর্ড হার্ডিঞ্জ রদ করে দেন বাংলা ভাগের প্রস্তাব। প্রচণ্ড গণ আন্দোলনের ফলশ্রুতিতে বঙ্গভঙ্গ রহিত হয়। দ্বিতীয়বার বঙ্গভঙ্গ হয় ১৯৪৭ সালে। এর ফলে পূর্ববঙ্গ পাকিস্তানে এবং পশ্চিমবঙ্গ ভারতে যুক্ত হয়। এই পূর্ববঙ্গই পরবর্তীকালে পাকিস্তানের কাছ থেকে এক রক্তক্ষয়ী বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের মাধ্যমে ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা লাভ করে ও বাংলাদেশ নামক একটি নতুন রাষ্ট্রের সৃষ্টি করে। শাসক গেরুয়া শিবির তাই জানেনা, শুধু এই রাখি বন্ধনের সামান্য হলুদ সুতোই তাদের হাঁসফাঁস অবস্থা করে তুলতে পারে। সাংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা মানে স্বেচ্ছাচারিতা নয়, সেটা বোঝানোর জন্য মমতা ব্যানার্জি-র ডাকে বাংলা জুড়ে আবার একটা রাখি বন্ধনই যথেষ্ট। প্রসঙ্গত, তিনি ২০২০ সালেই বাংলা জুড়ে রাখি উৎসবকে সংস্কৃতি দিবস হিসেবে পালনের ডাক দিয়েছিলেন। আর রাজ্যপালের প্রতি রাজ্যের এক প্রাক্তন মন্ত্রী ও উত্তরবঙ্গের নেতার অভিযোগ, রাজ্যপাল নাকি দার্জিলিং পাহাড়ে বসে বাংলাকে ভাগ করার চক্রান্তে লিপ্ত হয়েছেন! উত্তরবঙ্গের গেরুয়া শিবিরের নেতাদের ডেকে সংবিধানবিরোধী বাংলাভাগে উস্কানি দিচ্ছেন!
১৯০৫। বঙ্গভঙ্গ বিরোধী আন্দোলনে সামিল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বললেন, আইনের সাহায্যে বাংলা ভাগ হতে চলেছে ১৬ অক্টোবর। কিন্তু ঈশ্বর বাংলার মানুষকে বিভক্ত করেননি। সেই কথা মাথায় রেখে, রবীন্দ্রনাথের নেতৃত্বে ওইদিন এক বিশাল মিছিল গঙ্গার উদ্দেশে রওনা হয়। মিছিলে অংশ নেন সমাজের বিশিষ্ট ও গণ্যমান্য ব্যক্তিরা। ওইদিন সমস্ত দোকানপাট বন্ধ থাকে। রাস্তায় কোনও যানবাহনও ছিল না। বাংলার স্বাভাবিক জীবন ছিল সেদিন অচল। গঙ্গায় ডুব দেওয়ার পর তাঁরা একে অপরের হাতে রঙিন সুতো বেঁধে দেন। বাংলা তথা বাঙালির ঐক্য, বাঙালির সংস্কৃতি, তাদের আশা আঙ্কাক্ষা তুলে ধরে গান লিখলেন রবীন্দ্রনাথ। সেদিন সারাদিনই কলকাতা তথা সমগ্র বাংলা জুড়ে ঐ গানটি ধ্বনিত হতে থাকে- বাংলার মাটি বাংলার জল বাংলার বায়ু বাংলার ফল – পুণ্য হউক, পুণ্য হউক, পুণ্য হউক হে ভগবান।
পাহাড়ের মানুষের সেন্টিমেন্টকে সুড়সুড়ি দিয়ে আগেও বাংলা ভাগের কৌশল নিয়েছিল গেরুয়া শিবির। পৃথক গোর্খাল্যান্ডের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বারবার চলেছে ভোট হাসিলের খেলা। সেই প্রতিশ্রুতির অবশ্য বারবার ভরাডুবিও হয়েছে। এখন আবার বাংলা ভাঙার চক্রান্ত! আসলে এবার পদ্ম শিবিরের সব স্তরের নেতা ধরেই নিয়েছিলেন, তাঁরা পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা দখল করবেন। কিন্তু তাদের সেই আকাশকুসুম কল্পনায় যে বাংলার মানুষের যে সপাটে চড় পড়বে, হিসেবটা যে ঠিক হয়নি! তাঁদের সেই ‘বাড়া ভাতে ছাই’ পড়ার পরে এবার ঘুরপথে রাজ্য ভাঙার অপচেষ্টা শুরু হয়েছে বলে মনে করছে বাংলার মা-ভাই-বোন। তারা চাইছে, এই রাখি উৎসবের দিন থেকেই পদ্মশিবির বুঝে যাক, ঘুরপথে আবার কাজ হাসিলের চেষ্টা করলে, বাংলার মাটি তাদের জন্য দুর্জয় ঘাঁটি।
আসলে আবার ইতিহাসের পাতা ওলটালে দেখা যাবে, বঙ্গভঙ্গের সলতে পাকানোর কাজ, শাসক ব্রিটিশ শুরু করেছিলেন, চুপচাপ, কয়েক বছর আগে থেকে (পদ্ম শিবিরের সাথেও যেন কি অদ্ভুত মিল, এখানেও!)। ১৮৯৬ সালে আসামের চিফ কমিশনার উইলিয়াম ওয়ার্ড ঢাকা, ময়মনসিংহ ও চট্টগ্রামকে আসামের অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব করেন। মনে রাখা উচিৎ, সেময়ে এ জেলাগুলো বর্তমান বাংলাদেশের এই জেলাগুলো থেকে বেশ বড় ছিল। কিন্তু ওয়ার্ডের প্রস্তাব বাস্তবায়িত হয়নি। এছাড়াও চট্টগ্রামের ব্যবসায়ী শ্রেণী ও বাংলা আইন পরিষদের বিরোধিতাও এ প্রস্তাব বাস্তবায়ন হতে দেয়নি।
তবে সবকিছু পাল্টে যায় যখন ১৮৯৮ সালে লর্ড কার্জন ভারতের বড় লাট হিসেবে দায়িত্ব নেন। প্রায় তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে চলে আসা বাংলা প্রেসিডেন্সির ইতিহাস বিবেচনা করে তিনি বঙ্গভঙ্গের পরিকল্পনা হাতে নেন, তবে সরকারিভাবে শুরুতেই কোনো ঘোষণা দেয়া হয়নি। ১৯০১ সালে মধ্য প্রদেশের চিফ কমিশনার অ্যান্ড্রু ফ্রেজার উড়িয়া ভাষাভাষী অঞ্চলের পুনর্গঠনের জন্য প্রস্তাব করেন। একইসাথে বাংলা প্রদেশকে বিভক্ত করার যৌক্তিকতা নিয়েও তিনি সুপারিশ করেন। এছাড়া ঢাকা ও ময়মনসিংহকে আসামের অন্তর্ভুক্ত করে দিলে বাংলা প্রদেশের প্রশাসনিক কাজের সুবিধার কথাও উল্লেখ করেন। ১৯০২ সালে বাংলা প্রদেশের সীমানা পুনর্নির্ধারণের গুরুত্ব ব্রিটিশ সরকারের কাছে জানান লর্ড কার্জন। ১৯০৩ সালে স্বরাষ্ট্র সচিব হাবার্ট রিজলে চট্টগ্রাম, ঢাকা ও ময়মনসিংহ জেলাকে বাংলা থেকে আলাদা করে আসামের সাথে যুক্ত করে আসামের চিফ কমিশনারের অধীনে ন্যস্ত করার প্রস্তাব দেন। কেন্দ্রীয় সরকার সে প্রস্তাব অনুমোদনও করে।
কিন্তু সরকারের এ সিদ্ধান্ত প্রকাশিত হলে সরকারি ও বেসরকারি উভয় মহলেই অসন্তোষ দেখা দেয়। সরকারের এ সিদ্ধান্ত বাংলার মুসলিম ও হিন্দু উভয় ধর্মের লোকেরাই বিরোধিতা করে শুরতে। নবাব সলিমুল্লাহ মতো প্রভাবশালী নেতা বঙ্গভঙ্গের বিরোধিতা করেন। কিন্তু ব্রিটিশ সরকার এ পরিকল্পনাকে বাস্তবায়নে পুরোদমে নিজেদের নিয়োজিত করে। পূর্ব বাংলার জনগণকে নিজেদের পক্ষে টানতে বড়লাট ১৯০৪ সালে ঢাকা, ময়মনসিংহ ও চট্টগ্রাম সফর করেন। পূর্ব বাংলার সংখ্যা গরিষ্ঠদের নিজের পক্ষে টানতে লর্ড কার্জন ঢাকাকে রাজধানী করে মুসলিমদের সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধির ঘোষণা দেন। সেই সাথে একজন লেফটেন্যান্ট গভর্নর, পৃথক আইন পরিষদ ও রাজস্ব বোর্ডের ঘোষণাও দেন কার্জন। তবে আসামের চিফ কমিশনার হেনরি কটন নিজেও এ প্রস্তাবের বিরোধিতা করেন। এসব পক্ষ-বিপক্ষ মতের মধ্যেই ১৯০৫ সালের ৯ জুন ভারত সচিব ব্রডরিক এ পরিকল্পনা অনুমোদন করেন ও ১০ জুলাই সরকারি গেজেট হিসেবে তা প্রকাশিত হয়।
পটভূমি পড়লেই বোঝা যাবে, সেদিনের ব্রিটিশ শাসক আর আজকের পদ্ম-গেরুয়া শিবিরের বাংলা ভাগের গোপন চক্রান্তের পটভূমি তৈরির কি অদ্ভুত মিল! ফিসফিস চুপচাপ কথাবার্তা বেরিয়ে গিয়েই বিপত্তি। একদিকে ভারতমাতার জয়গান, আর একদিকে বঙ্গভাগের চেষ্টা, সেটা কি আসলে মাতার অঙ্গছেদন নয়! আসলে, ২০১১ সালে মমতা ব্যানার্জি যখন মা-মাটি-মানুষের সরকার উপহার দিলেন, সেদিনই বুঝেছিলেন, সব কাজে, উত্তরবঙ্গের মানুষকে কলকাতায় ছুটে আসার দিন শেষ করতে হবে। উপহার দিলেন, উত্তরকন্যা থেকে একের পর এক নতুন বিশ্ববিদ্যালয় বা মেডিকেল কলেজ। সুতরাং, বিছহিন্নতাকামীদের প্রশ্ন তোলার অনেক আগেই, উত্তর দিয়ে রেখেছেন যে তিনি, ১০ বছর ধরে। সেদিন রাখি বন্ধনকেই অস্ত্র হিসেবে ব্যাবহার করে ব্রিটিশ শাসককে নিজেদের নির্দেশ ফেরাতে, বঙ্গভঙ্গ রদ করতে বাধ্য করেছিলেন আমাদের রবীন্দ্রনাথ। আর আজ যদি ফের কোনও শাসক, আবার বঙ্গভঙ্গের ষড়যন্ত্রের বিন্দুমাত্র চেষ্টাও করে বা গোপনে আলোচনা-রিপোর্ট চালাচালি করে, এই রাখি বন্ধনের দিনেই ফের বাংলার নেত্রীর নেতৃত্ত্বে বাংলার ঘর-বাংলার হাত-বাংলার মাঠ-বাংলার বন কিম্বা বাঙালির প্রাণ-বাঙালির আশা-বাঙালির ভাষা কিন্তু ঝাঁপিয়ে পড়ে বাংলার অখণ্ডতা রক্ষা করবেই।