প্রতিবেদন : মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতিমতো রাজ্য সরকার সবরকমভাবে চাকরিহারা শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীদের পাশে আছে। সরকার শীঘ্রই রিভিউ পিটিশনে যাচ্ছে। তাই নিজের হাতে কেউ আইন তুলে নেবেন না। বুধবার দ্ব্যর্থহীন ভাষায় রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ জানিয়ে দিলেন ধৈর্য ধরুন। উতলা হবেন না সরকার আপনাদের পুরো বিষয়টি দেখছে ধৈর্যের সঙ্গে।
এদিন, সুপ্রিম কোর্টের রায়ে চাকরিহারা শিক্ষকদের ডিআই অফিস অভিযানকে কেন্দ্র করে তৈরি হওয়া বিশৃঙ্খলা প্রসঙ্গে রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ বলেন, এই ঘটনা একেবারই বাঞ্ছনীয় নয়। এতে কারও কোনও লাভ হবে না। তিনি জানিয়েছেন, তাঁদের সমস্যার দ্রুত আইনি এবং মানবিক সমাধানের পথ খোঁজা হচ্ছে। মধ্যশিক্ষা পর্ষদের স্কুলগুলির সঙ্কটের কথা তুলে ধরে সুপ্রিম-রায়ে চাকরি হারানো শিক্ষকদের আপাতত কাজ চালিযে যাওয়ার অনুমতি চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে। আবার সুপ্রিম কোর্টের রায় পুনর্বিবেচনার আর্জিও জানানো হচ্ছে। খুব শীঘ্রই ওই আবেদন সর্বোচ্চ আদালতে জমা দেওয়া হবে বলে এদিন আশ্বস্ত করেন মুখ্যসচিব। তিনি আরও বলেন, চাকরিহারা শিক্ষকদের সরিয়ে দেওয়ার কোনও নির্দেশিকাও জারি করা হয়নি। বরং মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের কাজ চালিয়ে যেতে বলেছেন। রাজ্য পুলিশের এডিজি (আইন শৃঙ্খলা) জাভেদ শামিম এবং কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মাকে পাশে নিয়ে এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন মুখ্যসচিব। তিনি বলেন, এসব কিছু স্বত্ত্বেও এদিন যে ঘটনা কলকাতা ও জেলায় জেলায় ঘটেছে তা একেবারেই কাম্য নয়। এর পিছনে কোনও কোনও স্বার্থান্বেষী মহলের প্ররোচনা থাকতে পারে। মুখ্যসচিব এদিন চাকরিহারা শিক্ষকদের উদ্দেশে জানান, তাঁদের কোনও অভাব-অভিযোগ বা আলোচনার প্রয়োজন থাকলে রাজ্য সরকার প্রস্তুত। আগাম অনুমতি নিয়ে তাঁরা ডেপুটেশন দেওয়ার মতো কর্মসূচি করলেও আপত্তি নেই। কিন্তু আন্দোলনের নামে আইন-শৃঙ্খলার অবনতি বা সরকারি সম্পত্তি নষ্ট মেনে নেওয়া হবে না। কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মা জানান, কসবায় এদিন ডিআই অফিসে ঢুকে পড়া আন্দোলনকারীরা পুলিশকে আগে থেকে কিছু জানাননি। তাঁরাই আগে সেখানে মোতায়েন থাকা মুষ্টিমেয় পুলিশ কর্মীদের ওপর চড়াও হয়েছিলেন। ওই ঘটনায় কলকাতা পুলিশের এক সার্জেন্ট-সহ ৬ জন আহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
ধৈর্য ধরুন, রিভিউ পিটিশনে যাচ্ছে রাজ্য
