প্রতিবেদন : কারণ, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) আন্তরিকতা ও তৎপরতা। ২০১১ সালে দায়িত্বে আসার পর তিনি সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন কৃষিতে। কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহানের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকে এ-কথা বলেন রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। শনিবার নবান্ন থেকে ভার্চুয়ালি এই বৈঠকে অংশ নেন তিনি। বৈঠকে কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী ছাড়াও ছিলেন মন্ত্রকের সচিব। উপস্থিত ছিলেন অন্যান্য রাজ্যের কৃষিমন্ত্রীরাও। সেখানেই রাজ্যের অগ্রগতির ছবি তুলে ধরেন শোভনদেব। সেই সঙ্গে রাজ্যের দাবিদাওয়া পেশ করেন তিনি।
বৈঠক শেষে তিনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গ মূলত কৃষিপ্রধান রাজ্য। গোটা দেশের মাত্র ২.৯ শতাংশ কৃষিজমি রয়েছে এই রাজ্যে। অথচ গোটা দেশের মোট জনসংখ্যার ৭.৮ শতাংশ এ রাজ্যে। রাজ্যের প্রায় ৯৬ শতাংশ কৃষকই ক্ষুদ্রচাষি। কিন্তু তারপরও আমরা চাল উৎপাদনে দেশে একনম্বর, পাটে একনম্বর, আলুতে দু’নম্বর, ভুট্টায় ৫ নম্বরে রয়েছি। পাশাপাশি কৃষকদের আয় বৃদ্ধির নিরিখেও দেশের ২০টি বড় রাজ্যের মধ্যে বাংলা একনম্বরে রয়েছে। উৎপাদনশীলতাতেও একনম্বরে বাংলা।
আরও পড়ুন-মুকুটমণিপুরে বাস উল্টে গুরুতর আহত ১৫ যাত্রী
গোবিন্দভোগ চাল রফতানি নিয়ে কেন্দ্রের কাছে দরবার করেন তিনি। বলেন, ২০২২ সালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গোবিন্দভোগ চাল রফতানির জন্য কেন্দ্রের কাছে এইচএসএন কোড চেয়ে চিঠি দিয়েছিলেন। কিন্তু আজ পর্যন্ত তা মেলেনি। এই কোড থাকায় বাসমতি চাল রফতানির সুবিধা পাচ্ছে অন্য রাজ্যগুলি। কিন্তু ওই কোড না থাকায় ধাক্কা খাচ্ছে এ-রাজ্যের গোবিন্দভোগ চাল রফতানি। এটি একটি সুগন্ধী চাল ও জৈব পদ্ধতিতে এর চাষ করা যায়। তাই বিদেশে এই চালের কদর রয়েছে। এর জন্য ভাল দামও পাওয়া যায়। কিন্তু কেন্দ্রের উদাসীনতায় রাজ্য নিয়মিতভাবে এর রফতানি করতে পারছে বলেও ক্ষোভ প্রকাশ করেন কৃষিমন্ত্রী। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় বরাদ্দের অঙ্ক নিয়েও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কাছে দাবি জানান তিনি।