প্রতিবেদন : কৃষিতে আমরা এক নম্বরে। এ জন্য কৃষকের অবদানই সবথেকে বেশি। আমাদের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, মধ্যবিত্তদের হাতে পয়সা না থাকলে, রাজ্য সফল হয় না। রাজ্য সরকার কৃষকদের পাশে থাকেন। তাই কৃষকরা প্রযুক্তিনির্ভর উৎপাদন করে রাজ্যকে এক নম্বরে নিয়ে গিয়েছেন। শনিবার কলকাতা জাতীয় গ্রন্থাগার বা ভাষা ভবনে কৃষি প্রযুক্তিবিদদের সাধারণ সভায় যোগ দিয়ে রাজ্যের কৃষকদের প্রশংসার পঞ্চমুখ কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। বাংলার মা-মাটি-মানুষের সরকারের মন্ত্রী সাফল্যের সব কৃতিত্বই দিলেন কৃষকদের।
আরও পড়ুন-সব সংগঠন এক ছাতার তলায় আসাতেই সাফল্য
কৃষি প্রযুক্তিবিদদের সর্ববৃহৎ সংগঠন সাটসা’কে ধন্যবাদ দিয়ে শোভনদেব বলেন, মুখ্যমন্ত্রী ৬৪টি প্রকল্প চালু করেছেন। তার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার একটা টাকাও দেয় না রাজ্যকে। তারপরও আমরা প্রতিটি ক্ষেত্রে এগিয়ে চলেছি। রাজ্যকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি। আমাদের বাংলা ভারতবর্ষের সমস্ত রাজ্যকে টেক্কা দিয়ে দেশে প্রথম স্থান অর্জন করে নেবে। পঞ্চায়েতমন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার বলেন, কৃষকদের জন্য ব্রতী আমাদের সরকার। মুখ্যমন্ত্রী শৈশবকালে গ্রামে ছিলেন, তাই তিনি গ্রামীণ অর্থনীতিতে কীভাবে আয় বাড়ানো যায়, তা জানেন ও বোঝেন। সেই চেষ্টাই তিনি করেন। বেশি উৎপাদন হলে তবেই সঠিক মূল্য পাওয়া যায়। তাই উৎপাদনে জোর দিয়েছে সরকার। বাংলার কৃষকরাই ভারতকে পথ দেখাবে। সারা পৃথিবীতে খাদ্যে আমরা সর্বোচ্চ স্থানে থাকব।
এদিন সাটসার সাধারণ সভায় দুই মন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন শরদিন্দু পাল, গৌতম পাল, সুদীপ্ত দাস-সহ একাধিক দফতরের আধিকারিকগণ। সাটসা কৃষকদের সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য কৃষি পাঠশালা, কৃষি প্রশিক্ষণ, শস্য প্রদর্শনীর কাজ করে। নতুন কৃষি প্রযুক্তি ও পদ্ধতির উদ্ভাবন করে কৃষি উন্নয়নে অবদান রাখে। বিভিন্ন স্কিম ছাড়াও জৈব সার ব্যবহারে উৎসাহী করে এই সংগঠন। তিনটি বিভাগে ১১টি পুরস্কার দেওয়া হয় কৃষকদের। তিনটি সংগঠনকে চেক প্রদান করা হয়। চেক প্রদান করেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় ও প্রদীপ মজুমদার।