প্রতিবেদন : স্বনির্ভরতার দিক দিয়ে এগিয়ে বাংলার মহিলারাই। দেশের মহিলা করদাতাদের নিরিখে সেরা পাঁচ রাজ্যের মধ্যে তৃতীয় স্থানে রয়েছে বাংলা। আর রাজ্যের মহিলাদের এই কৃতিত্বের পিছনে বিরাট ভূমিকা পালন করছে রাজ্য সরকারের আর্থিক নীতি ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মস্তিষ্কপ্রসূত নারীকল্যাণমূলক প্রকল্পগুলি। যার জেরে বাম আমলের পর থেকেই বাংলার মহিলারা বিভিন্ন দিক থেকে ক্রমাগত স্বনির্ভর হয়ে উঠেছেন। রাজ্যের মহিলারা সরকারি সাহায্য পেয়ে কেউ চাকরি, করে কেউ ব্যবসা করে, কেউ স্বনির্ভর গোষ্ঠীতে যোগ দিয়ে কিংবা বিকল্প পথে রোজগার করে নিজের পায়ে দাঁড়াচ্ছেন এবং স্বাধীনচেতা হয়ে কর দান করছেন।
আরও পড়ুন-বাম নেতা তন্ময় ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ, সরব দেবাংশু
আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, মহিলা করদাতাদের নিরিখে প্রথম পাঁচ রাজ্যের মধ্যে ৪টি রাজ্যই অ-বিজেপিশাসিত রাজ্য। অর্থাৎ বিজেপির ডবল ইঞ্জিন রাজ্যগুলিতে মহিলারা আয়কর দানের নিরিখে পিছিয়ে রয়েছেন অনেকটাই। এই নিয়ে প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ কুণাল ঘোষ বলেন, মহিলাদের কর দেওয়ায় যে পাঁচটি রাজ্য দেশের শীর্ষে, তার মধ্যে সসম্মানে রয়েছে বাংলা। এটা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ এবং ভাল খবর। বাংলায় মহিলাদের অত্যন্ত ভাল পরিস্থিতি এবং সেটা আরও ভাল কীভাবে করা যায়, সেটা রাজ্য সরকার ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দেখছেন। কিন্তু দেশের মধ্যে প্রথম পাঁচে বাংলার থাকার পাশাপাশি এটাও গুরুত্বপূর্ণ যে ওই তালিকায় চারটি রাজ্যই অ-বিজেপি। এটা বিজেপি-শাসিত রাজ্যগুলির ব্যর্থতা যে সেখানকার মহিলারা এখনও ট্যাক্স দেওয়ার ক্ষেত্রে এমন জায়গায় পৌঁছননি যাতে দেশের সেরা পাঁচের তালিকায় আসতে পারেন। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের সমীক্ষায় উঠে এসেছে, গত অর্থবর্ষে ভারতে মহিলা আয়করদাতাদের অংশীদারিত্বের বিচারে প্রথম সারিতে রয়েছে কেরল (২২-২৬ শতাংশ মহিলা করদাতা), তামিলনাড়ু (২১-২৫ শতাংশ মহিলা করদাতা), পশ্চিমবঙ্গ (১৬-১৯ শতাংশ মহিলা করদাতা), পাঞ্জাব (১৬-১৯ শতাংশ মহিলা করদাতা) এবং অন্ধ্রপ্রদেশ (১৫-১৯ শতাংশ মহিলা করদাতা)।