ডাবল ইঞ্জিন যোগীরাজ্যের থেকে শত যোজন এগিয়ে বাংলা : কাফিল

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার যে পরিকাঠামো তৈরি করেছেন, তা কেন্দ্রের সার্বিক সহায়তা পেয়েও করতে পারেনি উত্তরপ্রদেশের সরকার।

Must read

প্রতিবেদন : ডাবল ইঞ্জিনের যোগীরাজ্যের থেকে বাংলার স্বাস্থব্যবস্থা কয়েক যোজন এগিয়ে। পরিকাঠামো থেকে আধুনিক সরঞ্জাম— সবক্ষেত্রেই উত্তরপ্রদেশকে টেক্কা দিতে পারে বাংলা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার যে পরিকাঠামো তৈরি করেছেন, তা কেন্দ্রের সার্বিক সহায়তা পেয়েও করতে পারেনি উত্তরপ্রদেশের সরকার। শনিবার মৌলালি যুবকেন্দ্রে দেশ বাঁচাও গণ মঞ্চের কনভেনশনে হাজির হয়ে বাবা রাঘবদাস মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের এনসেফ্যালাইটিস ওয়ার্ডের প্রাক্তন চিকিৎসক কাফিল খান সোজাসাপ্টা জানিয়ে দিলেন সে কথা।

আরও পড়ুন-মোদির ফাঁকা বুলিতে শুধুই আত্মপ্রচার, নীরব মণিপুর

যোগীরাজ্য গোরক্ষপুরের বাসিন্দা ডা. কাফিল খানের কথায়, জেলার প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের পরিকাঠামো থেকে শহরের সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের যন্ত্রপাতি সবক্ষেত্রেই যোগী আদিত্যনাথের তুলনায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার এগিয়ে। তিনি নিজের পকেটের টাকা দিয়ে অক্সিজেন সিলিন্ডার কিনে প্রাণ বাঁচিয়েছিলেন অগুনতি শিশুর। তবুও মেলেনি পুরস্কার। উল্টে যোগী আদিত্যনাথের সরকার তাঁকে হাসপাতাল থেকে সরিয়ে দিয়েছিল। বিগত ছ’বছরে তিনবার জেল খাটতে হয়েছে তাঁকে। ডা. কাফিল খানের কথায়, যোগী আদিত্যনাথের সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত কোনও শত্রুতা নেই। আমরা দু’জনেই গোরক্ষপুরের বাসিন্দা। ডা. কাফিল খান আরও বলেন, অসংখ্য প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, কিন্তু কোনও প্রতিশ্রুতিই রক্ষা করতে পারেনি উত্তর প্রদেশ সরকার। ধর্মীয় বিভাজনের খেলায় নির্বাচন জেতে।

আরও পড়ুন-যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো ধ্বংস করছে মোদি সরকার, লোকসভায় তোপ দাগলেন সৌগত

সারা ভারতের ডাক্তারি পরীক্ষায় ত্রিশতম স্থান অধিকার করা ডা. কাফিল খান এদিন স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেন, কলকাতার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা অনেক উন্নত। আরও উন্নত করে তুলতে সচেষ্ট মুখ্যমন্ত্রী। সেইমতো শহরের মতো জেলাতেও সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল গড়ে তুলছে বাংলার সরকার। এদিনের কনভেনশনে দাবি তোলা হয়, শিক্ষার মতো স্বাস্থ্যকে আমজনতার প্রধান দাবি হিসেবে মান্যতা দিতে হবে। সম্প্রতি আরজিকরের তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ-খুনের পর রাস্তায় নেমে একদল চিকিৎসক যেভাবে আন্দোলন করেছেন, তার কোনও সারবত্তা নেই। বাম আমলে জনস্বাস্থ্যের দাবি নিয়ে রাস্তায় নেমেছিল ডাক্তাররা। আশির দশকে বামফ্রন্ট সরকার পুলিশ দিয়ে সেই আন্দোলন দমিয়েছিল। আর এখন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ডাক্তারদের ধর্নামঞ্চে যান। চিকিৎসকদের প্রতি মানবিকতার দৃষ্টিভঙ্গিতে তিনি পাশে দাঁড়ান। সমস্যার সমাধান করেন। বাংলা আর পিছিয়ে থাকবে না। বাংলায় যা হয়নি, আগামীদিনে তা হবে। এদিনের অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ দোলা সেন, প্রাক্তন মন্ত্রী পুর্নেন্দু বসু, গায়ক প্রতুল মুখোপাধ্যায়, চিকিৎসক শান্তিরঞ্জন দাশগুপ্ত, ডা. সিদ্ধার্থ গুপ্ত।

Latest article