দিল্লি (Delhi) বিস্ফোরণকাণ্ডের পর থেকেই কড়া নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে শিয়ালদহ এবং হাওড়া স্টেশন চত্বর। বাদ যায়নি বিদ্যাসাগর সেতুও। গাড়ি, ট্যাক্সি, অ্যাপ ক্যাব সবকিছুই চেকপয়েন্টে আটকানো হচ্ছে। শিয়ালদহ ও হাওড়া স্টেশনের মেন গেটের কাছাকাছি এলাকায় বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা। বেশ কিছুটা দূর থেকে ব্যারিকেড করে সব গাড়ি ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে এবং ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে স্টেশনে আসা সব যাত্রীদের কিছুটা এগিয়ে গিয়ে ওঠা এবং নামার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া স্টেশন চত্বরের বাইরে বেশিক্ষণ দাঁড়াতে দেওয়া হচ্ছেনা কোন গাড়ি। শিয়ালদহ স্টেশনের বাইরে থাকা পার্কিংয়ে চলছে RPF এর নজরদারি। পার্কিং স্পেসে ঢোকার অনুমতি দেওয়ার আগে প্রত্যেকটি গাড়িতেই তল্লাশি চালানো হচ্ছে। যাত্রীদের লাগেজ কয়েক দফায় তল্লাশি করা হচ্ছে। স্টেশন চত্বরের বাইরে তল্লাশি করছে বোম্ব স্কোয়াড। শিয়ালদহ ও হাওড়া স্টেশনের বাইরে বিভিন্ন জায়গায় মোতায়েন করা হয়েছে সশস্ত্র RPF জওয়ান।
আরও পড়ুন-কমিশনকে দায়ী সহকর্মীদের কাজের চাপে অসুস্থ বিএলও
দিল্লি কাণ্ডের পর পুলিশ কমিশনারের নির্দেশ অনুযায়ী কোন অচেনা ব্যাক্তিকে এলাকায় দেখলে বা সন্দেহ হলে নজর রাখার কথা বলা হয়েছে। নাকা চেকিং পয়েন্ট আরো জোরদার করতে হবে। প্রতিটি হোটেলে নজরদারি আরও বেশি করে চালাতে হবে। তথ্য পেলে তৎক্ষনাৎ ব্যবস্থা নিতে হবে। বাইরে থেকে লোক এলে তাদের সম্পর্কে বিশদে জানতে হবে। এছাড়া সন্দেহজনক কোন গাড়ি বা ব্যক্তিকে দেখলেই নিকটবর্তী থানায় যোগাযোগ করতে হবে।
এই মর্মে নবান্ন’র ভারপ্রাপ্ত পুলিশ আধিকারিক কৌশিক চক্রবর্তী জাগো বাংলাকে জানিয়েছেন,”নবান্ন, বিদ্যাসাগর সেতু টোলপ্লাজাতে সারা বছর সমস্ত গাড়ি ধারাবাহিকভাবেই তল্লাশি করা হয়। নাকা চেকিং বজায় রাখি এবং শহরবাসী ও যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই এই কাজ সারাবছর করা হয়। এখন সেটা আরেকটু বাড়ানো হয়েছে। তবুও যাত্রীদের বলবো যদি পাবলিক ট্রান্সপোর্টে কোন ব্যাগ বা জিনিস অনেকক্ষন পড়ে থাকতে দেখা যায় তাহলে দ্রুত নিকটবর্তী চেকপয়েন্ট বা আউটপোস্টে যোগাযোগ করতে হবে। সন্দেহভাজন কিছু দেখলেই পুলিশের সাহায্য নিতে হবে। এছাড়া নিজেদেরও চারপাশের পরিস্থিতি সম্পর্কে অবগত থাকতে হবে।”

