বাংলার (west bengal) উন্নয়ন, বাংলার অগ্রগতি মানতে চায় না কেন্দ্রের বিজেপি। বঙ্গ বিজেপি তো বাংলার ভালো চাইতেই পারে না। পদে পদে বাংলাকে বিপদে ফেলতে চায় বাংলা বিদ্বেষী বিজেপি। কিন্তু কেন্দ্রের রিপোর্ট তারা উপেক্ষা করবে কী করে! কেন্দ্রের রিপোর্টেই বাংলা উচ্চ কর্মক্ষমতা সম্পন্ন রাজ্য হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। আরও একটি পালক জুড়েছে বাংলার সাফল্যের মুকুটে।
বাংলার মা-মাটি-মানুষের সরকার কর্মে বিশ্বাসী। কর্ম করে গেলে ফল মিলবেই। বাংলায় উন্নয়নের যে কর্মযজ্ঞ চলছে, তা উপেক্ষা করার সাধ্যি কেন্দ্রের সরকারের নেই। তাই বিজেপি নেতারা প্রতিহিংসা চরিতার্থ করলেও কেন্দ্রের রিপোর্ট বলে অন্য কথা। কেন্দ্রীয় পঞ্চায়েতমন্ত্রক প্রতি বছর দেশের কোন রাজ্য কেমন কাজ করছে তার উপর একটি রিপোর্ট তৈরি করে। কাজের মূল্যায়নের নিরিখে কেন্দ্রীয় পঞ্চায়েত মন্ত্রকের দেওয়া রিপোর্টে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার নতুন স্বীকৃতি পেল। কেন্দ্রের রিপোর্টে পশ্চিমবঙ্গকে ‘হাই পারফর্মিং স্টেট’ বা উচ্চ কর্মক্ষমতা সম্পন্ন রাজ্যের তকমা দেওয়া হল।
আরও পড়ুন- পানাগড়ে নৃত্যশিল্পী সুতন্দ্রা চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যুর ঘটনায় আটক বাবলু যাদব
মোট ৬টি বিষয়ের নিরিখে রাজ্যগুলির মূল্যায়ন করা হয়েছে। ১০০ নম্বরের মধ্যে ৫৬.৫২ নম্বর পেয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। এই মূল্যায়নই প্রমাণ করে বাংলা উন্নয়নমূলক কাজের শীর্ষে। আর কেন্দ্রের মূল্যায়নে একের পর এক বিজেপিশাসিত রাজ্যগুলির করুণ অবস্থা। শান্তিপূর্ণ পঞ্চায়েত নির্বাচন, এসসি-এসটি এবং নারী সংরক্ষণের নিয়ম মানা, নিয়মিত অডিট, টাকা খরচে স্বচ্ছতা ও উন্নয়নের নিরিখে মূল্যায়ন করা হয়েছে। পঞ্চায়েতগুলি নিজস্ব আয় বাড়াতে কতটা বেড়েছে সেটাও খতিয়ে দেখা হয়। তার বিচারেই বাংলা পায় উচ্চ কর্মক্ষম রাজ্যের তকমা। এছাড়াও বাংলায় পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের টাকা বণ্টন এবং সেই টাকা কেমনভাবে খরচ করা হয়েছে, সেই বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হয়। এছাড়া জনপ্রতিনিধিদের প্রশিক্ষণ নেওয়া, প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ব্যবস্থা এবং পরিকাঠামো বিভাগেও বাংলা ৭০.৬৩ নম্বর পেয়ে বড় সাফল্য অর্জন করেছে। বাংলা ছাড়াও পাঁচটি রাজ্য ‘হাই পারফর্মিং স্টেট-এর তকমা পেয়েছে।