জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) ডুয়ার্সের (Duars) বাগরাকোটে লুপের মতো সেতু তৈরি হচ্ছে। নির্মাণকাজ যদিও শেষ হয়নি। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের প্রথম লুপ সেতু নিয়ে উত্তেজনা এখন তুঙ্গে। সেই নির্মীয়মান সেতু দেখতে বাগরাকোটের চারপাশের এলাকা থেকে অনেকেই আসছেন। পর্যটকরাও পারলে একটু দেখে নিচ্ছেন এই সুযোগে। লুপ সেতু থেকে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগের সুযোগ এবার হাতের মুঠোয়। চোখের সামনেই দেখা যাবে নদী। সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্তের সময়ের মায়াবী পরিবেশ হাতের নাগালে। মনে করা হচ্ছে, আগামিদিনে বাগরাকোটের অন্যতম ‘টুরিস্ট স্পট’ হয়ে উঠতে চলেছে এই লুপ সেতু।
আরও পড়ুন-তিরুপতি মন্দিরে বিশৃঙ্খলা, পদপিষ্ট হয়ে মৃত ৬
পশ্চিমবঙ্গ এবং সিকিমকে যুক্ত করতে এই লুপ সেতু অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। শিলিগুড়ি থেকে কালিম্পং ও সিকিম যাওয়ার ‘লাইফলাইন’ ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক মাঝেমধ্যে বন্ধ হয়ে যায়। বর্ষার সময় বেশি পরিমান বৃষ্টির ফলে বারংবার ধস নামে। সেক্ষেত্রে গরুবাথান হয়ে কালিম্পং দিয়ে সিকিমের দিকে যেতে সময় অনেকটাই বেশি লাগে। সেই সমস্যার সমাধান করতে শিলিগুড়ি থেকে ওলদাবাড়ির উপর দিয়ে বাগরাকোট হয়ে সিকিম যাওয়ার একটি বিকল্প রাস্তা নির্মাণ শুরু হয়। সেটারই অংশ হল লুপ সেতু। ২০১৮ সাল থেকে বাগরাকোটের চার-পাঁচ কিলোমিটার দূরে পাহাড়ের গা দিয়ে বেশ কিছু পিলার বসিয়ে লুপ সেতু তৈরি করা হচ্ছে। সেতুর দুটি ভাগ আছে। জনসাধারণের জন্য যাতে খুব দ্রুত এই লুপ সেতু খুলে দেওয়া যায় সেই প্রস্তুতি এখন তুঙ্গে।
আরও পড়ুন-জলপাইগুড়ি থেকে চিকিৎসা করাতে ডায়মন্ড হারবারে, ১ লক্ষ পার সেবাশ্রয়, আপ্লুত অভিষেক
রাজ্যের প্রথম লুপ সেতু শুধুমাত্র পর্যটনের শ্রীবৃদ্ধি নয়, রয়েছে ভৌগোলিক গুরুত্বও। রাস্তার মাঝে সর্পিল আকারে নির্মীয়মাণ লুপ সেতুটি দেখতে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ইতিমধ্যে মানুষ আসতে শুরু করেছে। সীমান্তে চিনের আগ্রাসনের ফলে মাঝেমধ্যেই উত্তেজনা বেড়ে যায়। তাই ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক বন্ধ হয়ে গেলে দেশের সুরক্ষা একটা চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায় । এবার বাগরাকোট থেকে নাথুলা পর্যন্ত এই রাস্তাটি হওয়ার ফলে সামরিক পরিবহণের ক্ষেত্রে সুবিধা হবে। সেনার কাছে একটি বিকল্প রাস্তা হয়ে যাচ্ছে ৷ প্রথম ১৮ কিলোমিটার রাস্তার বরাত পেয়েছে ঝাড়খণ্ডের একটা সংস্থা । বাগরাকোট থেকে লুপ সেতুর দূরত্ব ৪-৫কিলোমিটার । ছয় বছর ধরে ৩৫০ জন কাজ করে চলেছেন এই সেতু তৈরি করতে।