প্রতিবেদন : আট বছর পর ফের ফুটবলে ভারত-সেরা হওয়ার হাতছানি বাংলার সামনে। মঙ্গলবার সন্তোষ ট্রফির ফাইনালে সঞ্জয় সেনের বঙ্গ ব্রিগেডের সামনে কেরল। সেই কেরল, যাদের কাছে তিন বছর আগে ফাইনালে টাইব্রেকারে হেরে সন্তোষ ট্রফি চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বপ্ন ভেঙে চুরমার হয়ে গিয়েছিল বাংলার। তাই এবারের ফাইনাল বাংলার কাছে আক্ষরিক অর্থেই বদলার মঞ্চ।
আরও পড়ুন-যশস্বীর আউট নিয়ে বিতর্ক, বেল নিয়ে খোঁচা স্টার্কেরও
৩২ বারের চ্যাম্পিয়ন। অথচ বাংলার ঘরে শেষবার সন্তোষ ট্রফি উঠেছিল সেই ২০১৬-’১৭ মরশুমে। তার পর থেকে শুধুই ব্যর্থতা। এর মাঝে দু’বার ফাইনালে উঠেও, রানার্স হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছিল। তিন বছর আগের ফাইনাল হারের ক্ষত তো এখনও বাংলার ফুটবলপ্রেমীদের স্মৃতিতে টাটকা। যে কোনও মূল্যেই যে এবারের সন্তোষ ট্রফিটা জিততে চান, সেটা ফাইনালের ২৪ ঘণ্টা আগে মিডিয়ার মুখোমুখি হয়ে স্পষ্ট করে দিয়েছেন সঞ্জয় সেন। বাংলার কোচের সাফ কথা, ‘‘বাকি দলগুলোর কাছে সন্তোষের ফাইনালে ওঠা কৃতিত্বের হলেও, বাংলার জন্য নয়। ট্রফি জিততে না পারলে, ফাইনালে ওঠার কোনও গুরুত্বহীন হয়ে যাবে। অতীতে বাংলা ৩২ বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ঠিকই। তবে এবারের লড়াইটা আরও কঠিন।’’
ট্রফি জেতার জন্য বাংলা শিবিরকে ভরসা দিচ্ছে দুই ফরোয়ার্ড রবি হাঁসদা ও নরহরি শ্রেষ্ঠার আগুনে ফর্ম। টুর্নামেন্টের ১০ ম্যাচে বাংলা যে ২৭টি গোল করেছে, তার মধ্যে রবি করেছেন ১১টি ও নরহরি ৭টি। ফাইনালেও দু’জনের পা থেকে গোলের আশায় রয়েছেন কোচ সঞ্জয় সেন।
আরও পড়ুন-গম্ভীর জমানায় মোটে ৩ টেস্টে জয়, লাল বলে আলাদা কোচের দাবি উঠল
প্রতিপক্ষ কেরলও দুর্দান্ত ছন্দে রয়েছে। ১০ ম্যাচে তারা গোল করেছে ৩৫টি। এই কেরল দলে রয়েছে ইস্টবেঙ্গল রিজার্ভ দলের একঝাঁক ফুটবলার। এঁদের মধ্যে নাসিব রহমান একাই করেছেন ৮ গোল। এছাড়া ৯টি গোল করেছেন মহম্মদ আজসাল। ফলে জেতার জন্য বাংলাকে সেরা ফুটবলই খেলতে হবে।