প্রতিবেদন : জনপ্রিয় ওয়েবসিরিজে অভিনেতা নওয়াজউদ্দিনের সেই বিখ্যাত ডায়ালগ, ‘কভি কভি লাগতা হ্যায় আপুন হি ভগবান হ্যায়’! কিন্তু সে তো রিল লাইফ। তবে বাস্তব জীবনেও একজন নিজেকে ঈশ্বরের দূত হিসেবে মনে করেন। মুখে বলেন, কখনও কখনও মনে হয়, আমিই ভগবান! পুরোদস্তুর রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হয়েও নিজেকে ভগবানের আসনে বসিয়ে ভগবানকে নিয়ে ছেলেখেলা করা সেই লোক দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আর ভোটের লোভে মোদির দেখানো পথে হেঁটে ধর্মের আড়ালে ভণ্ডামি করেন বিজেপির অন্য নেতারাও। প্রধানমন্ত্রীকে খুশি করতে সম্বিত পাত্রের মতো বিজেপি নেতারা বলেন, প্রভু জগন্নাথ মোদির ভক্ত! কলকাতায় বঙ্গ বিজেপির অনুষ্ঠানে মা কালীর ছবির পাশে মোদির ছবি রেখে সেই নির্বুদ্ধিতা আবারও প্রমাণ করলেন গদ্দার-সুকান্তরা। তৃণমূল কংগ্রেস ধর্ম নিয়ে বিজেপির এই নোংরা খেলার তীব্র নিন্দা করছে। দলের সাফ বক্তব্য, এটা ধর্মের চরম অপমান। জঘন্য আত্মমুগ্ধতার প্রদর্শন। যদি এভাবেই ঈশ্বরের নাম ভাঙিয়ে, বিশ্বাসকে ব্যবহার করে মোদিকে ভগবান বানানোর ছক কষে বিজেপি ২০২৬-এর দিকে হাঁটতে চায়, তাহলে ওরা বাস্তব পরিস্থিতি থেকে অনেকটা দূরে। বাংলায় আমরা মা কালীকে পুজো করি, ভোটের লোভে ভণ্ডামি করা লোকেদের নয়!
আরও পড়ুন-বন্ধ কলকারখানার শ্রমিকদের আর্থিক সহায়তায় ডিজিটাল পোর্টাল আনছে রাজ্য
ঈশ্বরকে নিয়ে বিজেপির ভণ্ড নেতাদের নোংরা খেলা! এত ঔদ্ধত্য হয় কী করে? তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষও এই নিয়ে বিজেপিকে তীব্র কটাক্ষ করে জানিয়েছেন, যেই বিজেপি ধর্মের নামে, হিন্দুত্বের নামে রাজনীতি করতে পিছপা হয় না, সেই বিজেপি কিনা ভগবানকেও ভয় পায় না আজকাল? এতটা স্বেচ্ছাচারিতা আসে কী করে? মা কালীর ছবির সঙ্গে নরেন্দ্র মোদির ছবি, এও সম্ভব? একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হয়ে নিজেকে যদি তিনি বা তাঁর অনুগামীরা ভগবানের সঙ্গে তুলনা করেন তাহলে তা সত্যিই ধর্মের নামে অপমান, দেব-দেবীকে অপমান। মাননীয় মোদিজি আর যাই করুন, ভগবানকে নিয়ে এই ছেলেখেলাটা করবেন না!