বিজেপি-রাজ্যে বাংলার শ্রমিক খুন, পরিবারের পাশে তৃণমূল

ওই ঘটনায় জড়িতদের যাতে অবিলম্বে শাস্তির ব্যবস্থা করা হয়, তার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হরিয়ানা সরকারের সঙ্গে কথা বলেছেন।

Must read

প্রতিবেদন : হরিয়ানায় বাংলার পরিযায়ী শ্রমিক সাবির মল্লিককে গোমাংস ভক্ষণের মিথ্যা অভিযোগে পিটিয়ে মেরেছে গো-রক্ষকরা। বিজেপিশাসিত রাজ্যে ফের এই লিঞ্চিংয়ের ঘটনায় উত্তাল দেশ। যেভাবে ধর্মীয় উসকানি দিয়ে এক নিরীহ শ্রমিককে পিটিয়ে মারা হল, তাতে নিন্দার ভাষা নেই। বিজেপি পরিচালিত সরকারের মুখ্যমন্ত্রী আবার সেই ঘটনাকে সমর্থন করেছেন। এরপর বঙ্গের বিজেপি নেতারা কী বলবেন? রবিবার বাসন্তীর নিহত পরিযায়ী শ্রমিক সাবির মল্লিকের বাড়িতে যান রাজ্যসভার তৃণমূল সাংসদ তথা পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পরিযায়ী শ্রমিক কল্যাণ দফতরের চেয়ারম্যান সামিরুল ইসলাম। এদিন সাবিরের পরিবার-পরিজনের সঙ্গে কথা বলেন তিনি, তাঁদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন। তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে ওই পরিবারে একটি চাকরিও দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

আরও পড়ুন-ফের মহার্ঘ রান্নার গ্যাস, মাথায় হাত ছোট ব্যবসায়ীদের

ওই ঘটনায় জড়িতদের যাতে অবিলম্বে শাস্তির ব্যবস্থা করা হয়, তার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হরিয়ানা সরকারের সঙ্গে কথা বলেছেন। যোগাযোগ রেখেছেন বলে জানান। পাশাপাশি ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নিজস্ব তহবিল থেকে ৩ লক্ষ টাকার আর্থিক সাহায্য তুলে দেন সাবিরের পরিবারের হাতে। সাবিরের পরিবারে আছেন বৃদ্ধ বাবা-মা, ভাই, বোন এবং স্ত্রী ও তিন বছরের একটি সন্তান। সাবির ছিলেন একমাত্র উপার্জনকারী। তাঁর মৃত্যুতে অসহায় হয়ে পড়েছে পরিবার। এই অবস্থায় পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে রাজ্য সরকার। বিধায়ক শ্যামল মণ্ডল থেকে সাংসদ প্রতিমা মণ্ডল পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে জানিয়েছেন, তাঁরা এই ঘটনার শেষ দেখে ছাড়বেন। প্রতিমা মণ্ডল জানিয়েছেন, তিনি সংসদে এই ঘটনা তুলে ধরবেন। এদিন সাংসদ সামিরুল ইসলামের সঙ্গে মাইনরিটি কমিটির চেয়ারম্যান সাবির সিদ্ধার্থ বসাকও যান অসহায় পরিবারের পাশে থাকার জন্য।

আরও পড়ুন-ফের রেলের গাফিলতি! সিগন্যাল পোস্টের রডে ঘষা খেয়েই এগোল ট্রেন

হরিয়ানার বাড্ডা থানায় অভিযোগ দায়ের হওয়ার পর তদন্তে নেমে পুলিশ আটজনকে এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার করেছে। মৃতের পরিবারের দাবি, সাবির কখনই গোমাংস ভক্ষণ করেননি বা তাঁর পরিবারের কেউ গরুর মাংস ভক্ষণ করেন না। অর্থাৎ মিথ্যা অভিযোগে তাঁকে পিটিয়ে মারা হয়েছে। শুক্রবার সকালে সাগিরের কফিনবন্দি দেহ বাসন্তীর বাড়িতে পৌঁছয়। তারপর সমাহিত করা হয়।

Latest article