সংবাদদাতা, মেমারি : সৌরযান অভিযানে তাঁর ভূমিকা ছিল। চন্দ্রযান অভিযানেও। এবার ইসরো ও নাসার প্রথম যৌথ উদ্যোগে তৈরি কৃত্রিম উপগ্রহ ‘নিসার’ (NISAR) অভিযানেও ভূমিকা ছিল তিনি পূর্ব বর্ধমানের মেমারির মেলনা গ্রামের কৌশিক মণ্ডলের। কেরলের তিরুবনন্তপুরমে ইসরোর বিজ্ঞানী-ইঞ্জিনিয়ার পদে কর্মরত। ওঁকে ১০ দিন অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান মহাকাশকেন্দ্রে রেখেছিল ইসরো। সেখানে ‘নিসার’ অভিযানের তথ্য বিশ্লেষক দলের সদস্য ছিলেন। আর শ্রীহরিকোটায় কৃত্রিম উপগ্রহটিকে কক্ষপথে পাঠানো জন্যে যে দল গঠিত হয়েছিল, তারও সদস্য ছিলেন কৌশিক। কৌশিক জানান, কৃত্রিম উপগ্রহটি পৃথিবীর ভূপৃষ্ঠের নীচে থাকা বিভিন্ন প্লেটের উচ্চমানের ছবি তুলে ইসরোতে পাঠাবে। সেগুলি বিশ্লেষণ করে হিমবাহ, ভূমিকম্প ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ পর্যবেক্ষণ করা যাবে। এ ছাড়াও বিশ্বের জলবায়ু পরিবর্তন পর্যবেক্ষণ, কৃষি ব্যবস্থাপনাতেও ‘নিসার’ (NISAR) উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নেবে। ভারতীয় মহাকাশযান ‘আদিত্য-এল ওয়ান’ সূর্যের কক্ষপথে পৌঁছল কি না, যে দলটি লক্ষ্য রেখেছিল, সেই দলের সদস্য ছিলেন কৌশিক। তাঁর দাবি, চন্দ্রযান-৩, সৌরযানের সাফল্য আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দিয়েছে। ২০১৬ থেকে কৌশিক ইসরোর তিরুবনন্তপুরম কেন্দ্রের সদস্য। হাওড়ার শিবপুরে এম টেক করার সময়েই ইসরোতে যোগ দেন। তার আগে কাটোয়ার বিআইটিতে পলিটেকনিক ও বর্ধমানের ইউআইটি থেকে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক হন। স্থানীয় বনগ্রাম পরমানন্দ মিশন থেকে মাধ্যমিক। বাবা সাধনচন্দ্র মণ্ডলের ছোট মুদির দোকান ছিল। বলেন, মহাকাশ গবেষণায় যে সাফল্য আসছে, তা শুধু আমার ছেলে বা ইসরোর নয়, গোটা দেশের।