নবনীতা মণ্ডল, নয়াদিল্লি: প্রথম ভারতীয় তথা বাঙালি হিসাবে রুক্ষ সাহারায় বিশ্বের সব থেকে কঠিন ম্যারাথন সম্পূর্ণ করলেন দুর্গাপুরের মেয়ে মহাশ্বেতা ঘোষ। ডেস সাবলস (এমডিএস) বা বালির ম্যারাথন, উষ্ণতম সাহারা মরুভূমিতে ২৫৬ কিমি দীর্ঘ এবং বিশ্বের কঠিনতম দূরপাল্লার দৌড়গুলির মধ্যে অন্যতম। সেই কঠিনতম ম্যারাথন জয় করে দেখালেন ৪৫ বছরের মহাশ্বেতা।
আরও পড়ুন-হাসপাতালে মেগা কিচেন
নজির গড়ে ফেরার পর ‘জাগো বাংলা’কে মহাশ্বেতা বলেছেন, ‘‘মেয়েরা চাইলে সব পারে। আর বাঙালি মেয়েরা কঠিন লড়াই জিততে বেশি ভালবাসে। যে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী একজন মহিলা, সেই রাজ্যের মেয়েদের কাছে লড়াই করে জয় ছিনিয়ে আনা তো জলভাত।’’
পেশায় ইঞ্জিনিয়ার মহাশ্বেতা বর্তমানে গুরুগ্রামের বাসিন্দা। দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন দুর্গাপুরের কারমেল কনভেন্ট স্কুলে। সেখান থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে বেঙ্গালুরু যান। তারপর ম্যানেজমেন্ট ডিগ্রি অর্জন। মহাশ্বেতার কথায়, ‘‘জীবনে কোনও দিন খেলাধুলা করিনি। আর পাঁচটা মধ্যবিত্ত বাড়ির ছেলেমেয়ের মতোই গান, আঁকা, গল্পের বই পড়ে সময় কাটাতাম, বলতে পারেন ঘরকুনো ছিলাম।’’
মহাশ্বেতা জানিয়েছেন, ২০০১ সালের পর থেকে তাঁর বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা দেখা যায়। শরীরের ওজন বেড়ে যাওয়ায় জিমে যাওয়া শুরু করেন।
আরও পড়ুন-হাওড়ায় তৃণমূলের সাহায্যেই মনোনয়নপত্র পেশ
প্রতিদিনের শারীরিক কসরত ফিটনেস বাড়ানোর পাশাপাশি আত্মবিশ্বাসও বাড়িয়ে দেয় মহাশ্বেতার। যা তাঁকে বিশ্বের অন্যতম কঠিন ম্যারাথন জিততে সাহায্য করেছে।