ঐক্যবদ্ধ বাংলাই ঐতিহ্য, মুখ্যমন্ত্রীর পাশে দাঁড়িয়ে ডাক দিলেন শিল্পীরা

Must read

প্রতিবেদন : একসময় দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামকে পথ দেখিয়েছে বাংলা। সারা বিশ্বের মানুষ বাংলা ও বাঙালির (Bengali Language) শিল্প-সংস্কৃতিকে বিশেষ সম্মান দিয়েছে। আর মূর্খ বিজেপি রাজনৈতিক ময়দানে কলকে না পেয়ে বাংলাকে, বাংলা ভাষাকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে অপমান করছে। বাংলাভাষীদের উপর অত্যাচার চলছে প্রত্যেক বিজেপি রাজ্যে। বাংলা-বিদ্বেষী বিজেপির বিরুদ্ধে তাই এবার ধর্মতলার ডোরিনা ক্রসিংয়ে প্রতিবাদে গর্জে উঠল তৃণমূল সাংস্কৃতিক সেল। মঞ্চ থেকে আওয়াজ উঠল, ভাষা-ধর্ম-জাতি নির্বিশেষে প্রত্যেকটি মানুষকে এক রেখেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। এটাই বাংলার ঐতিহ্য। আমরা গর্বিত সেই ঐতিহ্যের উত্তরসূরি হিসেবে। বিজেপির বিভেদের চক্রান্ত আমরা রুখব ঐক্যবদ্ধ হয়েই।

আরও পড়ুন- SSKM: স্বাস্থ্য পরিষেবায় নতুন যুগের সূচনা, মুখ্যমন্ত্রীর হাত ধরে সাধ্যের মধ্যে অত্যাধুনিক চিকিৎসা

ছিলেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদ ও সোশ্যাল মিডিয়া সেলের সদস্যরাও। সঙ্গীতশিল্পী দেবজ্যোতি বসুর নেতৃত্বে এদিন বাংলা-বিরোধী বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হল বাংলার (Bengali Language) শিল্পীমহল। দেবজ্যোতি বসুর কথায়, শিল্প-সংস্কৃতির দিক থেকে সারা পৃথিবী বাংলাকে যে জায়গা দিয়েছে, তাকে কোনওভাবেই অবজ্ঞা করা যায় না। কিন্তু অন্যান্য রাজ্যে যেভাবে এখন বাংলাকে অপমান করা হচ্ছে, কেন্দ্রীয় সরকারের সেই অত্যাচারের প্রতিবাদে আজ আমাদের এই প্রতিবাদ। এদিন জয়ী ব্যান্ড, পরিবর্তন দলের গান-কবিতার মাধ্যমে ডোরিনা ক্রসিংয়ের ধরনা-মঞ্চ মুখরিত হয়ে ওঠে বাংলা-বিরোধীদের বিরুদ্ধে। বক্তব্য রাখেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদ ও আইটি সেলের প্রতিনিধিরাও। ছিলেন সৈকত মিত্র, নাজিমুল হক, বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায়, অভিরূপ চক্রবর্তী, উপাসনা চৌধুরী, অপর্ণা মৌলিক, সুতপা বন্দ্যোপাধ্যায়, অনির্বাণ সরকার, রূপসা বসু-সহ অন্যরা। এদিন বক্তব্য রাখতে গিয়ে সৈকত মিত্র বলেন, দেশকে স্বাধীন করার পিছনে বাংলার বিপ্লবীদের ভূমিকা ছিল সবচেয়ে বেশি। সেই বাঙালিকে অপমান করার স্পর্ধা কীভাবে হয়, সেটাই আশ্চর্যের! শ্রীলঙ্কার মানুষও তো তামিল ভাষায় কথা বলেন। বাংলার উত্তরেও তো পাহাড়ে মানুষ নেপালি ভাষায় কথা বলেন। আবার, ডোরিনার মঞ্চ থেকে সোশ্যাল মিডিয়া সেলের তরফে উপাসনা চৌধুরী বলেন, বাংলা ভাষা, বাংলার মাটিকে বিজেপি স্বীকার করতে চায় না। অথচ ওরা এই বাংলার মাটির ক্ষমতা দখলের রাজনীতি করছে। ভোট আসলেই ওরা পরিযায়ীর পাখির মতো উড়ে উড়ে আসে। আমরা কিন্তু ওদের আপ্যায়নে কোনও খামতি রাখিনি। যদিও ওরা জানে না, যদি কেউ বাংলার মানুষের থেকে বাংলাকে কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করে, শিশুর থেকে তাঁর মাকে কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করে; সে কিন্তু রুখে দাঁড়াবেই। বাঙালি অপমান সহ্য করবে না।

Latest article