প্রতিবেদন : রাজনৈতিক হিংসা, রাজনৈতিক গুন্ডামি, বাংলা এবং বাঙালির প্রতি চরম বিদ্বেষের ছবি তৈরি করছে বিজেপি আর তার শাগরেদ বজরং দল আর রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ৷ আইনকে হাতে তুলে নিচ্ছে৷ বিচারব্যবস্থাকে পঙ্গু করে দিচ্ছে৷ দেশ জুড়ে অরাজক পরিস্থিতি তৈরি করছে কেন্দ্রের সরকার৷ বাঙালি বিদ্বেষ শুরু হয়েছে বেশ কয়েক মাস ধরে৷ বিজেপি রাজ্যে বারবার ঘৃণার ছবি দেখা গিয়েছে৷ এবার আবার সেই বিজেপির ওড়িশার সম্বলপুরে মুর্শিদাবাদের বাঙালি শ্রমিক জুয়েল শেখকে পিটিয়ে খুন করল বিজেপির ক্যাডাররা৷ মুর্শিদাবাদের জুয়েল-সহ আরও কয়েকজন সম্বলপুরের শান্তিনগরে কাজ করতেন৷ বুধবার রাতে কাজ সেরে ফেরার পথে আক্রান্ত হয় ছ’জনের দল৷ বিড়ি চাওয়া নিয়ে শুরু বচসা৷ তারপর বাঙালি হওয়ার কারণে বাংলাদেশি তকমা৷ তারপর শুরু মারধর৷ হাসপাতালে নিয়ে গেলে জুয়েলের মৃত্যু হয়৷ জুয়েলের বাড়িতে পৌঁছেছেন সুতির বিধায়ক ইমানি বিশ্বাস৷ পাশে তৃণমূল৷ ক্ষুব্ধ রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা বলেছেন, বাংলা বিজেপির কাছে মাথা নত করেনি বলে হিংসা চলছে৷ কত খুনের পর থামবে এই ঘৃণার রাজনীতি! পরিশ্রম করে সম্মানের সঙ্গে যাঁরা বাঁচতে চান, সেই পরিযায়ীদের বারবার মারধর করা হচ্ছে৷ অপমান করা হচ্ছে৷ খুন করা হচ্ছে৷ বাংলার মানুষ বিজেপিকে ক্ষমা করবে না৷
আরও পড়ুন-উন্নয়নকে সামনে রেখে আজ বৈঠকে অভিষেক
অন্যদিকে, উত্তরপ্রদেশে উন্নাওতে কিশোরী ধর্ষণে অভিযুক্ত বিজেপি বিধায়ক কুলদীপ সিং সেঙ্গারকে দিল্লি হাইকোর্ট জামিন দিয়ে দিয়েছে৷ ২০১৭-র মর্মান্তিক ঘটনায় কুলদীপের যাবজ্জীবন হয়েছিল৷ সেই সাজা মকুব করায় সর্বত্র বিজেপির বিরুদ্ধে ধিক্কারের আওয়াজ উঠেছে৷ প্রশ্ন উঠেছে, আদালতের ভূমিকা নিয়েও৷ এ নিয়ে উত্তরপ্রদেশের মন্ত্রী ও পি রাজভরের কটাক্ষকে তীব্র নিন্দা করেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়৷ বলেছেন, এটাই হচ্ছে বিজেপি রাজ্যের চরিত্র৷ বিজেপি রাজ্যে বেটি বাঁচাওয়ের এটাই বাস্তব চিত্র৷ বিজেপির মন্ত্রী নির্যাতিতাদের উপহাস করছেন৷ ধর্ষকরা মুক্তি পাচ্ছে এবং নির্যাতিতারা যখন উপহাসের পাত্র হচ্ছেন, তখন বুঝতে হয় দেশের ন্যায়বিচার কঠিন প্রশ্নের সামনে দাঁড়িয়েছে৷

