বাঙালি তাই অসমের নাগরিকপঞ্জি থেকে নাম বাদ কোচবিহারের আরতির

বাঙালি তাই অসমের নাগরিকপঞ্জি থেকে নাম বাদ গেল মহিলার। আতঙ্কে বৃদ্ধ স্বামীকে ছেড়ে বাবার বাড়িতে রয়েছেন প্রৌঢ়া?

Must read

প্রতিবেদন: বাঙালি তাই অসমের নাগরিকপঞ্জি থেকে নাম বাদ গেল মহিলার। আতঙ্কে বৃদ্ধ স্বামীকে ছেড়ে বাবার বাড়িতে রয়েছেন প্রৌঢ়া? কী করবেন তিনি? কীভাবে ফিরে যাবেন স্বামীর কাছে? চিন্তায় দিন কাটছে কোচবিহারের বক্সিরহাটের ঝাউকুটি গ্রামের বাসিন্দা আরতি ঘোষের। অসহায় প্রৌঢ়ার পাশে দাঁড়িয়েছে তৃণমূল। রবিবার আরতির বাড়িতে যান জেলা সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক। বারবার কেন্দ্রের এই অরাজকতার বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছে দল। রবিবার সাংবাদিক বৈঠক করে কেন্দ্রের এই ঘৃণ্য কাজের জবাব চেয়েছেন মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য।

আরও পড়ুন-বাংলায় অনুপ্রবেশ? মিথ্যাচার এবার প্রমাণ করল নীতি আয়োগের সমীক্ষা

অসমের মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি একাধিক প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়ে তিনি বলেন, এটা কোন দেশ? অসমের একজনকে বিয়ে করলে কী দোষ? নাগরিকত্ব চলে যাবে? কেন্দ্র সরকার যে বলে এ-দেশে জাতিভেদ প্রথা নেই। তাহলে কি মুখেই যত কথা? বিবাহিত জীবনকে অপমান করছে। আমরা অসমের মুখ্যমন্ত্রীকে জিজ্ঞাসা করতে চাই, আপনি কি বিদেশি গুণছেন? এইভাবে বিদেশি? আপনাকে প্রশ্ন, যখন ভারতে বিদেশিরা শাসন করত, সেই ভারতকে বিদেশি-শাসন মুক্ত করতে, স্বাধীনতা আনতে কারা লড়েছিলেন? ইতিহাস আপনার জানা নেই? ইতিহাস পড়ুন। এনআরসি করছেন? আমরা ধিক্কার জানাই। শুধু আরতিদেবীই নন, তাঁর জা-ও একই আতঙ্কের শিকার। মন্ত্রী এদিন আরও তথ্য তুলে ধরে বলেন, আরতিদেবীর জা-ও শ্বশুরবাড়ি, পরিবার ছেড়ে রয়েছেন আলিপুরদুয়ারে। এই প্রসঙ্গে কোচবিহারের দিনহাটার বাসিন্দা উত্তম ব্রজবাসীকে এনআরসি নোটিশ পাঠানোর কথাও উঠে আসে। মন্ত্রী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, রাজবংশী দেখলেই কিছু একটা করতে হবে। তাঁর কাছে পরিচয়পত্র আছে ভারতবষের্র নাগরিকের, তার পরেও তাঁর কাছে নোটিশ? একইভাবে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন কোচবিহারের জেলা সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক।

Latest article