প্রতিবেদন : বিস্ফোরণ ও নাশকতা চালানোর দায়ে গ্রেফতার হল মোদির দলের কর্মী। বেঙ্গালুরুর রামেশ্বরম ক্যাফেতে বিস্ফোরণের ঘটনায় এবার এক বিজেপি কর্মীকে আটক করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ। তদন্ত প্রক্রিয়ায় এনআইএর হাতে গ্রেফতার অন্য অভিযুক্তর সূত্র ধরে বিজেপি কর্মী সাই প্রসাদ নামে ওই অভিযুক্তকে আটক করা হয়। এই ব্যক্তি আরএসএসেরও একনিষ্ঠ সেবক বলে পরিচিত। এই গ্রেফতারির পর ঘটনায় যুক্ত আরও দুই অভিযুক্তর নামও প্রকাশ করেছে তদন্তকারী সংস্থা। তাদের খোঁজে তল্লাশি চালানোর কথাও জানানো হয়েছে এনআইএ-র তরফে।
আরও পড়ুন-মাদ্রাসা আইন বাতিল স্থগিত, সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কা যোগীরাজ্যের
১ মার্চ বেঙ্গালুরুর হোয়াইটফিল্ড এলাকায় একটি ক্যাফেতে বিস্ফোরণের ঘটনায় মুজাম্মিল জামিল নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এই ব্যক্তি মোবাইল বিক্রি করেছিলেন। চিক্কামাগালুরুর সেই মোবাইল বিক্রেতাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে খোঁজ পাওয়া যায় সাই প্রসাদ নামে ওই বিজেপি কর্মীর। প্রথম গ্রেফতারির প্রায় এক সপ্তাহ পরে দ্বিতীয় আটক কর্নাটকের রাজনীতিতে ফের আলোড়ন ফেলেছে।
বিস্ফোরণের পর থেকে বিজেপির একাধিক নেতানেত্রী রাজ্যের শাসকদল কংগ্রেসের দিকে আঙুল তুলেছিলেন। শুক্রবার সাই প্রসাদের গ্রেফতারির পরে প্রকাশ্যে এসেছে ঘটনায় অভিযুক্ত আরও দু’জনের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল আরএসএস ঘনিষ্ঠ প্রসাদের। এবার পাল্টা সরব হয়েছে কংগ্রেস। যদিও নির্বাচনের আগে রাজনৈতিকভাবে কর্নাটকে বিজেপি কোণঠাসা হয়ে পড়ায় এবার মাঠে নেমেছে এনআইএও।
আরও পড়ুন-মালদহে অভিষেক, সব ভুলে সর্বাত্মক প্রচারে ঝাঁপান
কেন্দ্রীয় সংস্থার পক্ষ থেকে দুই অভিযুক্তর নাম প্রকাশ করা হয়। কর্নাটকের শিবমোগ্গা জেলার বাসিন্দা মুসাবির হুসেন সজীব ও আব্দুল মতিন তাহা-র নাম প্রকাশ করা হয়। সেই সঙ্গে উল্লেখ করা হয় অসমর্থিত সূত্রে খবর প্রকাশ না করার জন্য। তদন্তে সমস্যা হতে পারে অভিযুক্তদের পরিচয় প্রকাশিত হলে, এই কথা বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হলেও এনআইএ নিজেই অভিযুক্তদের নাম প্রকাশ করে দিয়েছে। বিজেপি কর্মীর পরিচয় গোপন করতেই বাড়তি তৎপরতা কি না কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার, এই প্রশ্ন উঠছে।