প্রতিবেদন : বইমেলার শেষদিনে জনজোয়ার। যেন গোটা শহর দেখে নিতে চাইছে বইয়ের মেলাকে। উলটে দেখতে চায় বইয়ের মলাট, প্রিয় লেখকের টানটান শব্দ, নতুন ছাপার গন্ধ, ব্যাগের মধ্যে ভরে নেওয়ার অনাবিল আনন্দ।
সফল বইমেলার শেষদিনে এটা যদি সার্বিক চিত্র হয়, তাহলে সব আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু নিঃসন্দেহে জাগোবাংলা স্টল। শুধু দলীয় মুখপত্রের স্টল বললে ভুল হবে। গোটা স্টলটাই আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু। মুখ্যমন্ত্রীর পরিকল্পনায় তৈরি এই মঞ্চ আসলে গ্রাম বাংলার ছবি, মনের শান্তি, প্রাণের আরাম। বইমেলার পাঠকদের কাছে অন্যরকম আকর্ষণ। তার পাশে ছোট্ট আড্ডা মঞ্চ। লেখকদের আড্ডা। দলীয় কর্মী-নেতৃত্বের নিপাট বইমেলার আড্ডা। সবুজ গালিচা। আকর্ষণ প্রতি সন্ধ্যায় অনুষ্ঠান। শিল্পীদের গান শোনা আর তার সঙ্গে বইয়ের অক্ষরে ডুবে থাকা নিশ্চিত এক অনন্য অভিজ্ঞতা। মেলা শেষের আগেই জাগোবাংলা সেরা স্টল।
আরও পড়ুন-সর্বনিম্ন! রাজধানীতে ১০ শতাংশের নীচে মহিলা বিধায়কের সংখ্যা
তবে সব কিছুর ঊর্ধ্বে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মেলার ম্যান অফ দ্য টুর্নামেন্ট। বইপ্রেমিকদের মূল আকর্ষণ তাঁর বই। দুই ব্যাগ মমতা ইতিমধ্যেই শেষ। এছাড়াও মুখ্যমন্ত্রীর দেড় শতাধিক বই এবার মেলায়। পাঠকরা কিনেছেন ভিড় করে। বিপুল চাহিদা। অবস্থা এমন যে সেই বইও স্টলে শেষ। স্টলের কেন্দ্রবিন্দু সাংসদ দোলা সেন বলেছেন, সকালেই পাবলিশার্সদের বলে দিদির আরও বই আনতে হয়েছে। অন্তত চার বস্তা। আবালবৃদ্ধবনিতার ভিড়। এবার যেন আরও বেশি। শেষ দিনে পা রাখা দায়। দোলা বললেন, সকালে আনা বইও মেলা শেষের আগেই শেষ। অভাবনীয়! বইমেলা এবারও মমতাময়। তাঁর লেখা বইয়ের চাহিদা আকাশচুম্বী। এবারও সেরা! ম্যান অফ দ্য টুর্নামেন্ট।