আরজি কর কাণ্ডের একবছর পূর্তির দিনে গদ্দারের নেতৃত্বে বিজেপির রাজনৈতিক নবান্ন অভিযান। কিন্তু গত এক বছরে অপরাজিতা বিল (Aparajita Bill) নিয়ে একটি শব্দও খরচ করেনি বিজেপি। উল্টে বাংলার বিধানসভায় পাশ হওয়া ‘অপরাজিতা বিল’ ফেরত পাঠিয়েছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। বিলটি রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস রাষ্ট্রপতি ভবনে বিবেচনার জন্য পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু রাষ্ট্রপতি ভবন সেই বিল রাজভবনে ফেরত পাঠিয়েছে। ধর্ষণ, খুনে মৃত্যুদণ্ডকে অতিরিক্ত নিষ্ঠুর সাজা বলে চিহ্নিত করা হয়েছে রাষ্ট্রপতি ভবনের তরফে। শনিবার বিজেপির আন্দোলনের নামে অসভ্যতার পর এবার রাষ্ট্রপতিকে আক্রমণ করলেন তৃণমূলের সাংসদ সায়নী ঘোষ।
আরও পড়ুন-ওড়িশায় হাসপাতালের শৌচাগার থেকে উদ্ধার নার্সের দেহ
সোশ্যাল মিডিয়াতে একটি ভিডিওর মাধ্যমে তিনি বলেন, ”এক বছর আগে আজকের দিনে, আরজি করের সেই মর্মান্তিক ঘটনা গোটা দেশের বিবেককে নাড়া দিয়েছিল, রেখে গিয়েছিল এক অপূরণীয় ক্ষত। চিকিৎসক তরুণীর পরিবারের অসহনীয় যন্ত্রণা এখনও আমাদের হৃদয়ে গভীরভাবে রয়ে গিয়েছে।
এই ধরনের নৃশংসতা আর কখনও যেন না ঘটে, তা নিশ্চিত করতে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা সর্বসম্মতভাবে পাস করেছিল ‘অপরাজিতা ধর্ষণ-বিরোধী বিল’, যেখানে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল—
ধর্ষকদের জন্য সর্বোচ্চ শাস্তি
দ্রুত ও নির্ভুল তদন্ত প্রক্রিয়া
বিলম্ব না করে ন্যায় নিশ্চিত করতে দ্রুত বিচার
কিন্তু, ভারতের নারী সুরক্ষার প্রশ্নে কঠোর পদক্ষেপের বদলে মোদী সরকার বেছে নিল উদাসীনতা আর উপেক্ষা, তুচ্ছ আপত্তি তুলে বিলটিকে পুনর্বিবেচনার জন্য ফিরিয়ে দিল।
ধর্ষণ সমাজের এক অভিশাপ। এর বিরুদ্ধে শুধু মুখের কথা বা প্রতীকী পদক্ষেপ নয়, প্রয়োজন কঠোর আইন ও শক্তিশালী প্রতিরোধ। অথচ যারা বেছে বেছে কয়েকটা ক্ষোভ থেকে রাজনৈতিক ফায়দা তোলে, তাদের কথায় আর কাজে মিল নেই—কারণ তাদের কাছে নারীর সুরক্ষা কেবল আরেকটি রাজনৈতিক হাতিয়ার।”
এরপর তিনি বিজেপির দ্বিচারিতার প্রসঙ্গ তুলে বলেন,”আমরা চেয়েছিলাম, এই বিলটির মাধ্যমে ধর্ষকের কঠোরতম শাস্তি হোক। নিরপেক্ষ তদন্ত হোক। বিচারপ্রক্রিয়াকে আরও দ্রুতগতির করতে। কিন্তু বিজেপি এই বিল ফেরত পাঠিয়ে প্রমাণ করে দিয়েছে তাদের কাছে ‘বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও’ কেবল ট্রাক বা লরির পিছনে লেখার একটি স্লোগান ছাড়া কিছুই না।” প্রধানমন্ত্রীকে নিশানা করে তিনি বলেন, ”প্রধানমন্ত্রী এবং তাঁর ছোট ছোট চৌকিদাররা বিচার চান না। তাঁরা নাটক চায়। ‘অপরাজিতা বিলের’ মতো একটি দৃষ্টান্তমূলক বিলকে আটকে দিয়ে বিজেপি বুঝিয়ে দিয়েছে তারা চায় মহিলারা অসুরক্ষিত থাকুক, ধর্ষকরা গায়ে হাওয়া লাগিয়ে ঘুরে বেড়াক।”