প্রয়াত মুনমুন সেনের স্বামী (Moon Moon Sen Husband Death) ভরত দেববর্মা। মঙ্গলবার সকালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। তাঁর প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। খবর পাওয়া মাত্রই অভিনেত্রীর বালিগঞ্জের বাড়িতে পৌঁছে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
সেখানে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, “মুনমুন এখানে নেই। দিল্লিতে আছেন। রাইমাও সেখানেই আছেন। এখানে রিয়া আছেন। বন্ধু, আত্মীয়স্বজনরাও আছেন। মুনমুন ইন্ডিগোর ফ্লাইটে আসবেন। ও এখানে আসলে ওকে গ্রিন করিডর করে নিয়ে আসা হবে। মুনমুনের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। ও জানত না। ভরত দা (Moon Moon Sen Husband Death) খুব ভালো মানুষ ছিলেন। খুব অমাইক লোক ছিলেন। এটা খুব বড় ক্ষতি। এমন কিছু বয়সও হয়নি তাঁর। আচমকাই মারা গিয়েছেন। ওঁরা বলছে স্ট্রোক হয়ে মারা গিয়েছেন। একজন শুভাকাঙ্ক্ষীকে এবং আমার এক আত্মীয়কে হারালাম। মুনমুন রাইমা ফিরে আসুক ভালোভাবে। আমি এখানে লোকাল কাউন্সিলার রাম এবং বাবু বক্সিকে রেখে গেলাম এখানে। দেবাশিস কুমার, মালা রায় সবাইকেই আমি খবর দিয়েছি। পুলিশকেও আমি বলে রেখেছি। বাকি সব ব্যবস্থাই করে রাখা আছে। যদি সুযোগ হয় ও আসলে ওঁর সঙ্গে আমি একবার ফোনে কথা বলে নেব।”
আরও পড়ুন- পাক বাহিনী আটক করেছিল, ৭ ভারতীয় মৎস্যজীবীকে উদ্ধার করলেন উপকূলরক্ষীরা
এদিন মুখ্যমন্ত্রী সুচিত্রা সেনের কথাও বলেন, জানান, “সুচিত্রা দেবী অনেক বছর কারর সঙ্গে দেখা করেননি। একমাত্র আমার সঙ্গে দেখা করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন। তারপর আমি বারবার বেলভিউতে ছুটে গেছি।উনি কোনোদিন লাইফ সেভিং নেননি। ওনার একটাই অনুরোধ ছিলন যে, আমি মারা যাওয়ার পর যেন কেউ আমার মৃতদেহ দেখতে না পায়। আমিও তাঁর শেষ কথা রেখেছি। তারপর থেকে মুনমুনদের সঙ্গে যোগাযোগ আছে। মুনমুন তৃণমূলের সাংসদও ছিলেন। এখনও ওদের সঙ্গে যোগাযোগ ভালো আছে। ”
ত্রিপুরার রাজ পরিবারের সন্তানের সঙ্গে দাঁড়িয়ে থেকে নিজের মেয়ের বিয়ে দিয়েছিলেন সুচিত্রা সেন। ক্যারিয়ারের মধ্য গগনেই মনের মানুষ খুঁজে পান মুনমুন। প্রায় সাড়ে চার দশকের দাম্পত্যের পর এবার পাকাপাকি ভরত – মুনমুনের মাঝে ব্যবধান তৈরি করে দিল মৃত্যু। ১৯৪১ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর জন্ম হয় ইলা দেবী ও ত্রিপুরার মহারাজা রমেন্দ্রকিশোর দেব বর্মার ছেলে ভরতের। সিনেমার সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে কোনদিনই যুক্ত হননি তিনি। ১৯৭৮ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি সাতপাকে বাঁধা পড়েছিলেন মহানায়িকার মেয়ের সঙ্গে। এরপর রাইমা-রিয়ার জন্ম। দুই মেয়েকেও সমানভাবে নিজেদের ক্যারিয়ারের ফোকাস করতে উৎসাহ যুগিয়ে গেছিলেন বাবা। দু-মাস আগেই বাবার জন্মদিনে আদুরে পোস্ট শেয়ার করে রাইমা জানিয়েছিলেন ভরত দেববর্মা তাঁর কাছে রকস্টার। বাবারে ভেঙে পড়েছেন রিয়া-রাইমা দুজনেই।