প্রতিবেদন : রাজ্যে রেকর্ড বৃষ্টিতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে একাধিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। আবহাওয়া পরিবর্তনের লক্ষণ নেই। একটানা বর্ষণে জলমগ্ন শহর ও শহরতলীর বিস্তীর্ণ এলাকা। পুরসভাগুলি যুদ্ধকালীন তৎপরতার সঙ্গে জল নামানোর চেষ্টা করলেও, কিছু অঞ্চল এখনও জলের তলায়। যার জেরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে সম্প্রতি বেশ কয়েকজনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনা নিয়ে বিজেপি সহ বিরোধীরা তাল ঠুকতে শুরু করেছে। শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। এদিন শম্ভুনাথ পন্ডিত স্ট্রিটের সভা থেকে তারই জবাব দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিন তিনি বলেন, “অসময়ে ভোট। জানি আপনাদের বিরক্ত করছি। এটা বর্ষার সময়, ভোটের সময় নয়। কিন্তু উপায় নেই। আমাকে ৬ মাসের মধ্যে নির্বাচিত হয়ে আসতে হবে।”
আরও পড়ুন :সিপিএম-কংগ্রেসকে কেস দেয়নি, সৎ-নির্ভীক পার্টি তৃণমুকেই টার্গেট করেছে বিজেপি: মমতা
এর পরই সকলকে সাবধানতার বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়, “বাজ পড়ার সময় বাড়ির ইলেকট্রনিক বন্ধ রাখুন। বাইরে বেরিয়ে ইলেকট্রিকের তার বা ইলেকট্রিক পোস্টে
হাত দেবেন না। সাবধানতা অবলম্বন করুন। বাজ পড়লে ঘরে থাকার চেষ্টা করুন। সতর্ক থাকুন। আগে বৃষ্টি হলে ৭-১০ দিন জল থাকত। এখন অনেক পাম্পিং স্টেশন করা হয়েছে। সাড়ে ৩ লক্ষ পুকুর কেটেছি আমরা। কিন্তু টানা ৪ মাস বৃষ্টি। বাংলাটা নৌকার মতো, ঝাড়খন্ডে, বিহারে বৃষ্টি হলে জল সব চলে আসে বাংলায়। ডিভিসি জল ছেড়ে দেয়। এমন ঝড়বৃষ্টি হচ্ছে, এমন বাজ পড়ছে, যা আগে কখনও দেখা যায়নি। মুম্বই-চেন্নাইতে জল জমলে কমে না। বর্ষায় এখানে পানীয় জলের অভাব হয় না। আমরা জলের উপর কর নিই না। এখানে লোডশেডিং হয় না।”
একইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী করোনা নিয়েও সকলকে সতর্ক থাকতে বলেন। তাঁর কথায়, “কোভিডে যেমন সাবধানতা অবলম্বন করেছেন সেটা বজায় রাখবেন। ১০০% টিকাকরণ হয়ে গেছে ভবানীপুরে। কলকাতায় ৮০% টিকা হয়ে গিয়েছে। সাড়ে পাঁচ কোটি লোককে টিকা দিয়েছি। আমার টার্গেট ১৪ কোটি। কারণ বাচ্চাদেরও টিকা দেবো। বাংলা টিকাকরনে একনম্বরে। সতর্কতা হিসেবে আগে থেকেই ১০ হাজার বেড রেডি করে রেখেছি বাচ্চাদের জন্য, থার্ড ওয়েভ যদি আসে সে কথা ভেবে। তবে করোনা কমলেও যাদের লান্সের সমস্যা আছে, পারলে আপনার বাড়ির পাশেই পিজিতে গিয়ে নিমোনিয়ার ইনজেকশন নিয়ে নেবেন। পিজি এখন দেশের অন্যতম সেরা সরকারি হাসপাতাল। এখন রাজ্যের হাসপাতালগুলি কত পরিষ্কার। মেডিক্যাল কলেজ করে দিয়েছি রাজ্যে। সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল করা হয়েছে।”