আর্থিকা দত্ত, জলপাইগুড়ি: কামাখ্যা, কালীঘাটের মতো শালবাড়ির ভ্রামরীদেবীর মন্দিরও প্রসিদ্ধ তীর্থস্থান। তবুও তেমনভাবে প্রচার পায় না। দূরদূরান্ত থেকে বহু মানুষ, সাধুসন্ন্যাসী মাঝেমধ্যেই আসেন, নিজেরাই উদ্যোগ নিয়ে আয়োজন করেন পুজোর। রাত জেগে চলে হোম যজ্ঞ, চণ্ডীপাঠ। বেশ কিছু বছর আগে কলকাতার জিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার অফিস থেকে তাপস সাধ্য ও দিলীপ চৌধুরী নামে দুই অফিসার মন্দির পরিদর্শন করে এলাকাবাসীকে বুঝিয়ে যান মন্দিরের গুরুত্ব। এক যোগী প্রথম দেখিয়েছিলেন তিনটি মোটা গাছের গুড়ির নিচে অবস্থিত পাথরে পরিণত হওয়া দেবীর বাঁ পা। এরপর শুধু রাজ্য নয়, ভারতের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এই মন্দিরে আসতে শুরু করেন সাধুসন্তরা। বাইরে থেকে আসা মানুষেরা ফালাকাটা স্টেশনের দেওয়ালের গায়ে এঁকে যান মন্দিরের একটি ম্যাপ।
আরও পড়ুন-উদ্যোগী আইএনটিটিইউসি, বিড়ি শ্রমিকদের মজুরি বাড়াল মালিক
জলপাইগুড়ির ধূপগুড়ি ব্লকের গাদং ২ নং গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার পুরনো শালবাড়িতে অবস্থিত এই ভ্রমরীদেবীর মন্দির। শহর থেকে মাত্র আট কিলোমিটার দূরে। ৩১ নং জাতীয় সড়কের পাশে শালবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের খেলার মাঠের অদূরেই এই শক্তিপীঠ। পাশ দিয়ে বয়ে গিয়েছে গিলান্ডি নদী। কথিত আছে দেবী ভ্রমরীর কাছে মানত করলে, তার সুফল মেলেই। স্থানীয়দের বিশ্বাস, সতীর বাম পা রয়েছে এই মন্দিরে।