সংবাদদাতা, ঝাড়গ্রাম : ঝাড়গ্রামে টানা বর্ষণে ক্ষয়ক্ষতি পর্যালোচনায় গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক বৈঠক করলেন সেচমন্ত্রী মানস ভুঁইয়া। টানা বর্ষণে জেলার ক্ষয়ক্ষতি ও ত্রাণব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে বুধবার ঝাড়গ্রাম জেলা প্রশাসনের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করলেন সেচমন্ত্রী মানস ভুঁইয়া।
আরও পড়ুন-মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে ৫ লক্ষ চেম্বার অফ কমার্সের
জেলাশাসকের সভাঘরের বৈঠকে ছিলেন জেলাশাসক, সভাধিপতি, পঞ্চায়েত সমিতির প্রতিনিধি ও বিভিন্ন দফতরের আধিকারিকরা। বৈঠকে গোপীবল্লভপুর ২ ব্লকের কুলিয়ানা অঞ্চলের মালিঞ্চা গ্রামে স্থায়ীভাবে নদীভাঙন রোধে চলমান ১২০০ মিটার কাজের পাশাপাশি স্থানীয়দের দাবি অনুযায়ী আরও ২০০ মিটার কাজ করার নির্দেশ দেন মন্ত্রী। অতিরিক্ত কাজের ব্যয়ের হিসাব দ্রুত জমা দিতে বলেন দফতরের আধিকারিকদের। উল্লেখ্য, মালিঞ্চা গ্রামে প্রশাসনের উদ্যোগে প্রায় ৮৬ লক্ষ টাকায় অস্থায়ী ভাঙনরোধের কাজ শুরু হলেও পুজোর সময় থেকে বন্ধ। বৈঠকে সেচমন্ত্রী জানান, ঝাড়গ্রাম ব্লকের চুবকা অঞ্চলে কংসাবতীর উপর একটি স্থায়ী সেতু নির্মাণ হবে স্থানীয়দের দাবিমতো। জেলা সভাধিপতি চিন্ময়ী মারাণ্ডি জানান, মন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন দ্রুত প্রশাসনের বিভিন্ন দফতরকে নিয়ে বৈঠক করতে। শিগগিরই বৈঠকে বসে নতুন সেতু নির্মাণ ও সংস্কারের প্রস্তাব প্রস্তুত করব। মন্ত্রী বলেন, মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন, গালুডির জলে বিপর্যস্ত জেলাগুলিতে বৈঠক করে ক্ষয়ক্ষতি ও ত্রাণব্যবস্থা পর্যালোচনা করতে। নয়াগ্রাম, আমদই ঘাট, ডুলুং নদীর উপর সেতু তৈরির বিষয়েও আলোচনা হয়। ১২ বছর ধরে আমি ইন্দো-ভুটান রিভার কমিশন গঠনের আবেদন জানিয়ে আসছি। ভুটান থেকে নেমে আসা ৭২টি নদী প্রতি বছর আমাদের রাজ্যে বিপর্যয় ঘটায়। অথচ কেন্দ্র এখনও রিভার কমিশন গঠনে আগ্রহী নয়। দুর্যোগ নিয়ে রাজনীতি না করে বাস্তব সমাধান বের করা উচিত। মন্ত্রী জানান, জেলা প্রশাসন, জেলা পরিষদ, পঞ্চায়েত সমিতি, পূর্ত ও সেচ দফতর একসঙ্গে বৈঠক করে জেলার সেতুগুলির তালিকা প্রস্তুত করবে। তার ভিত্তিতে সেচ দফতরের আওতায় থাকা সেতুগুলির দ্রুত কাজ হবে।