প্রতিবেদন : গদ্দার অধিকারীর দাদাকে দুর্নীতির হাত থেকে বাঁচাতে একপেশে পক্ষপাতদুষ্ট রায় দিয়েছিলেন প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বাতিস্তম্ভ বসানোর নামে লক্ষ লক্ষ টাকার তহবিল তছরুপের মামলায় গদ্দারের দাদা কৃষ্ণেন্দুকে ক্লিনচিট পাইয়ে দিয়েছিলেন তিনি। এবার অভিজিতের সিঙ্গল বেঞ্চের সেই রায়কে খারিজ করে দিল কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। আরও একবার প্রমাণ হয়ে গেল, কীভাবে বিচারপতির আসনে বসে বিজেপির সঙ্গে ষড় করে সেই আসনের ফায়দা তুলেছেন অভিজিৎ, কীভাবে কলুষিত করেছেন ওই চেয়ারকে। বিজেপির সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রেখে একেবারে তমলুকের টিকিট নিশ্চিত করে তবেই বিচারপতির পদে ইস্তফা দেন অভিজিৎ।
আরও পড়ুন-চাই শ্রমিকের অধিকার, মে দিবসে বন্ধ সোনাগাছি
কাঁথি পুরসভা এলাকায় বাতিস্তম্ভ বসানোর নামে লক্ষ লক্ষ টাকা তছরুপ হয়। সেই দুর্নীতিতে অধিকারী পরিবারের ছেলে গদ্দারের দাদা কৃষ্ণেন্দু অধিকারীর নাম জড়ায়। অভিযোগ পেয়ে কৃষ্ণেন্দুকে ১৬০ নং ধারায় আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়ার নোটিশ পাঠান এগরার এসডিপিও। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে কৃষ্ণেন্দু হাইকোর্টে গেলে ওই মামলায় রাজ্যকে কোনও বক্তব্য পেশের সুযোগ না দিয়েই একপেশে রায় দেন তৎকালীন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। খারিজ করা হয় ১৬০ নং ধারার ওই নোটিশ, উল্টে এসডিপিওর বিরুদ্ধে বেআইনিভাবে ৫ লক্ষ টাকা জরিমানাও করেন তৎকালীন বিচারপতি অভিজিৎ। তাহলেই বুঝুন, একটা নির্দিষ্ট দল ও পরিবারের তাঁবেদারিতে কীভাবে বিচারপতির চেয়ারকে কাজে লাগিয়েছেন তমলুকের বিজেপি প্রার্থী।
আরও পড়ুন-সিপিএম-দুষ্কৃতীদের হাতে আক্রান্ত তৃণমূল বিধায়ক
তাঁর সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্য। অভিজিতের সেই নির্দেশ খারিজ করে প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, সিঙ্গল বেঞ্চ এক্ষেত্রে সঠিকভাবে আইনের পথ অনুসরণ করেননি। তাই ওই নির্দেশ খারিজ করে ফের মামলাটি অন্য সিঙ্গল বেঞ্চে পাঠিয়েছে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। রাজ্যের তরফে এজলাসে আইনজীবী সব্যসাচী ভট্টাচার্য জানান, সিঙ্গল বেঞ্চে রাজ্যকে কোনও কথাই বলতে দেওয়া হয়নি। এমনকী হলফনামাও গ্রহণ করা হয়নি। রাজ্যের এই যুক্তি শুনেই অভিজিতের ওই বেআইনি নির্দেশ খারিজ করে দিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ। এ-ছাড়াও এসডিপিওকে ৫ লক্ষ টাকা জরিমানার নির্দেশও খারিজ করে দিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ।