প্রতিবেদন: কিছুতেই রণে ভঙ্গ দিচ্ছে না ইজরায়েল। বরং আরও উগ্র এবং আগ্রাসী হয়ে উঠছে দিনদিন। পরিস্থিতি যেদিকে যাচ্ছে তাতে প্রবল হয়ে উঠছে মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা। ১০ মাসের ধারাবাহিক ইজরায়েলি হামলায় ইতিমধ্যেই প্যালেস্টাইনের ৪০ হাজার নাগরিক প্রাণ হারিয়েছেন। অন্যদিকে হামাসের হামলায় মৃত্যু হয়েছে প্রায় ১৪০০ ইজরায়েলির। এবার লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে হামলা চালাল ইজরায়েলি বাহিনী। মৃত্যু হয়েছে অন্তত ৯ জনের। ইজরায়েলের সামরিক বাহিনী দাবি করেছে, নাবাতিয়ে অঞ্চলে রাতভর লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লার অস্ত্রাগারে হামলা চালিয়েছে বিমানবাহিনী। তাদের যুদ্ধবিমান মারৌন এবং আইতা আল-শাব গ্রামে সামরিক ভবন আক্রমণ করেছে। শনিবার লেবাননের স্বাস্থ্যমন্ত্রকের অভিযোগ, নাবাতিয়ে অঞ্চলে নিহত হয়েছেন এক নারী এবং তাঁর দুই শিশুসন্তান। সম্প্রতি প্যালেস্টাইনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী ও হিজবুল্লাহর শীর্ষ দুই নেতা হামলায় নিহত হন। এই হামলার জন্য ইজরায়েলকে দায়ী করে হামাস, ইরান ও হিজবুল্লাহ। সেইসঙ্গে ইজরায়েলের বিরুদ্ধে পাল্টা প্রতিশোধের হুঁশিয়ারি দেয়। এমন উত্তেজনার মধ্যেও লেবাননে হামলা চালাল ইজরায়েল।
আরও পড়ুন-আবার মাথা তুলছে আল কায়দা! আত্মঘাতী হামলা ইয়েমেনে হত ১৬ সেনা
এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, গাজায় যুদ্ধবিরতির চুক্তির সম্ভাবনা অনেকটাই প্রবল হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের প্রতি তাঁর আহ্বান, এই প্রচেষ্টাকে হেয় করবেন না, বিঘ্ন ঘটাবেন না। শুক্রবার প্রথম পর্যায়ের আলোচনার শেষে তিনি বলেছেন, আগের যে কোনও সময়ের চেয়ে যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবের অনেক কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছি আমরা। হামাস অবশ্য এখনও পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারছে না এই উদ্যোগকে। তবে যুক্তরাষ্ট্র, কাতার এবং মিশরের পক্ষ থেকে এই উদ্যোগের ব্যাপারে একটি যৌথ বিবৃতি দেওয়া হয়েছে।